লৌহজংয়ের খিদির পাড়া ইউনিয়নের বাসুদিয়া গ্রামের গৃহবধূ জাফরিন (১৯) কে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করেছে দুবৃত্তরা। জাফরিনের শরীরের ধারালো ছুরির আঘাত সহ মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে যন্ত্রনায় ছটপট করছে লৌহজং সদর হাসপাতালে। জাফরিনের শ^াশুরী সীমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাত ১টার সময় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে জাফরিন ঘরের বাইরে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা তিন জন দুবৃত্ত জাফরিন কে পিছন দিক থেকে আটকে ফেলে, তার শরীরের ওড়না দিয়ে প্রথমে তার মূর্খ ও গলায় পেচিয়ে ধরে। এরপর তাকে বাড়ি পিছনে বাগানে নিয়ে যায় টেনে হিচরে। এ সময় জাফরিন নিজেকে বাচাঁতে ঘরের বেড়া ঝাপটে ধরলে ধারালো ছুরি দিয়ে দুবৃত্তরা তার দুই হাতের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। একপর্যায়ে দুবৃত্তরা তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত করে। পাশের ঘর থেকে জাফরিনের এক চাচা শ^শুর ফোনে কথা বলার জন্য বাইরে বের হলে লোকের উস্থিতি টের পেয়ে দুবৃত্তরা তাকে হাত-পা ও গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। বাড়ির পাশে পালানে (বাগানে) গুংরানোর শব্দ পেয়ে শ^াশুরী পুএ বধূ জাফরিন কে খোজতে থাকে। ঘরে জাফরিনের কোন সারা শব্দ না পাওয়ায় এবং ঘরের দরজা খোলা দেখে শ^াশুরীর ডাক চিৎকারে বাড়ির অন্যসব লোকজন ছুটে আসে এবং তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্বার করে বাড়ির পাশে বাগান থেকে। বর্তমানে সে লৌহজং সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই বিষয়ে লৌহজং থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। লৌহজং থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. মনির হোসেন জানান, আমরা অভিযোগ পেয়ে ঘটনা স্থলে ও হাসপাতালে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দুষীদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পারিবারিক সুএে জানাযায়, গত দুই বছর আগে পাশের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার নয়াগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে জাফরিনের সাথে লৌহজংয়ের বাসুদিয়া গ্রামের জুয়েল খানের ছেলে শাকিলের বিয়ে হয়। বাবা ও ছেলে দুজনেই বর্তমানে প্রবাসে রয়েছে সে সুবোদে জাফরিন তার শ^াশুরী ও ছোট একটি দেবর বাড়িতে থাকত।