এবার বাবা-মা ও কবিরাজসহ ৬ জনের নামে নির্যাতনের অভিযোগ করে থানায় মামলা করেছে মেয়ে শরিফা খাতুন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা শফিকুল ইসলাম ও কবিরাজ আ: সালামকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রোকনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে পারখিদিরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীতে পড়-য়া স্কুল ছাত্রী শরিফা খাতুনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১১ মার্চ নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানার দায়েরকোল গ্রামের রিপন (২৮) এর সাথে বিয়ে দেয় বাবা মা। এরপর ঐ ছেলেকে অপছন্দ করায় শরিফা নিজ বাড়িতে চলে আসলে বাবা-মায়ের অভিমান করে একই গ্রামের সোহান এর সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে তাকে বিয়ে করে ২৩ এপ্রিল ঢাকার উদ্দেশ্যে বের হলে টেবুনিয়া বাজার থেকে তাদেরকে পুলিশ আটক করে।
পরে আটঘরিয়া থানা পুলিশ উভয় পক্ষ নিয়ে মিমাংসা করে শরিফা খাতুন খাতুনকে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেন। মেয়ে শরিফাকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে লোহার শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে একই গ্রামের আ: সালাম নামের এক কবিরাজকে ডেকে এনে ক্ষতিকারক বিষ জাতীয় কবিরাজি ট্যাবলেট মুখে দিয়ে জিহব্বা পুড়ে যায়। এ সময় শরিফা অসুস্থ হয়ে পড়লে কবিরাজ শরিফার হাতের আঙ্গুলে নখে সুচ দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে পুলিশ খবর পেয়ে ২৫ এপ্রিল ঐ বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় শরিফাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় কবিরাজ আ: সালামকে আটক করে। পরের দিন এই মামলার প্রধান আসামি শরিফার বাবা শরিফুল ইসলাকে পুলিশ আটক করে।
আসামিদেরকে ২৭ এপ্রিল (শনিবার) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানার র্ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত নাজমুল হক বলেন, ফরিফা খাতুনকে নির্যাতনের অভিযোগে বাবা-মা, চাচা ও এক কবিরাজসহ ৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।