জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা থাকার কারণে ২৯ জন শিক্ষক ও কর্মচারী বেতন ভাতা গত ৬ মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষক ও কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জনা গেছে, উপজেলার হিন্দা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও একাধিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বর্তমান কোন বৈধ কমিটি ও প্রধান শিক্ষক না থাকায় গত ছয় মাস যাবৎ ১১ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করতে পারছে না। এদিকে বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য ফজলার রহমানকে সভাপতি করে কমিটি অনুমোদনের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ওই কমিটি অনুমোদন না হওয়ায় এবং প্রতিষ্ঠান প্রধাণ রেজাউল ইসলাম এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা থাকার কারণে গত মার্চ মাসের বেতন ও বৈশাখী ভাতা উত্তোলন করতে পারেনি ওই প্রতিষ্ঠানের ১৮ জন শিক্ষক কর্মচারী। বিনাই মাদ্রাসার কর্মচারী আবদুস সালাম বলেন,আমি গরিব মানুষ। বেতন বন্ধ হওয়াতে সংসারের খরচসহ বগুড়াতে অধ্যয়নরত আমার ছেলের লেখাপড়ার খরচ দিতে পারছি না।
অপরদিকে হিন্দা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, কমিটি ও দুই প্রধান শিক্ষক নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মামলার কারণে গত ছয় মাস ধরে বেতন ভাতা না পেয়ে অনেকটা কষ্টে আছি। এসব সদস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার রেজাউল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কমিটি অনুমোদনের জন্য কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছফিউরল্লাহ্ সরকার বলেন, কিছু ক্রুটি থাকায় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাসহ হিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং বিনাই মাদ্রাসার কমিটি অনুমোদন না হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব।ওই দুই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে।এসব সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।