সিরাজদিখানে সেতু মন্ডল অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার মূল আসামি হযরত আলী ওরফে সজলকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার ১৭ দিন পর গত শনিবার ভোরে উপজেলার কুচিয়ামোড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। সজল বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার উনানিয়া গ্রামের আ. মজিদ সরদারের ছেলে। আদালতে ১৬৪ ধারায় জবান বন্দীতে হযরত আলী দোষ স্বীকার করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এ সময় হযরত আলী তার জবানবন্দিতে বলে মন্দিরে আমরা বিয়ে করি, আমার আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে সেতুর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেই।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল সেতু মন্ডল বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। নিখোজের আগে সেতু মন্ডলের সাথে সজল একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করে। সজল কেরানিগঞ্জ থানা এলাকায় থেকে এসে সিরাজদিখান উপজেলার গোয়াল খালী এলাকা থেকে সেতু মন্ডলকে সাথে করে নিয়ে যায় ঢাকার শাঁখারী বাজার একটি মন্দিরে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করার প্রতিশ্রুতি দেয় এরপর হযরত আলী হাতের আংগুলের রক্ত দিয়ে সেতুর সিঁথিতে সিদুর পরিয়ে দেয়। রাতেই হযরত আলী বরিশাল নীজ বাড়িতে সেতুকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সদঘাটে লঞ্চের কেবিন ভাড়া করে। ঢাকা থেকে বরিশাল লঞ্চে কেবিনে করে যাওয়ার পথে একাধিক বার সেতুর সাথে শারীরিক সর্ম্পক ঘটায় হযরত আলী। বাড়ি না গিয়ে বরিশাল থেকে ভোরে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চের কেবিন নেয় ফেরার পথে তাদের মধ্যে একাধিক বার শারীরিক সর্ম্পক হয়। ১১ এপ্রিল কেরানীগঞ্জের গোলাম বাজার এলাকায় সেতুকে রেখে পালিয়ে যায় হযরত আলী। গোলাম বাজার পুলিশ ফারীর মাধ্যমে সেতু উদ্ধার হয়ে রাতে বাড়ি ফিরে যায়। ১৭ এপ্রিলে সেতু মন্ডল আতœহত্যা করলে সেতু মা বাদী হয়ে সোহেল কে প্রধান আসমীসহ অজ্ঞাত আরো ২জনকে আসামি করে সিরাজদিখান থানায় মামলা দায়ের করে। এলাকাবাসী জানায় সোহেল ও পলাশের সাথে সেতুর প্রেমের সর্ম্পক ছিল। হযরত আলীর নাম অনেকে জানত না।
সিরাজদিখান থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন জানান, ইতি পূর্বে আমরা সোহেল এবং পলাশকে আটক করেছি কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আমরা মূল আসামি হযরত আলী ওরফে সজলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। সোহেলকে সেতু মন্ডলের মা সজল দাবী করেন কিন্তু এটা সঠিক না। সেতু যখন বিয়ে করেন তখন বলেন যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে আর হযরত আলীর নাম সজল রাখা হয়। সেতু তার মাকে এই সজলের নামই বলেছিল।
উল্লেখ্য গত ১০ এপ্রিল সেতু মন্ডল বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। ১১ এপ্রিল সকালে কেরানিগঞ্জের গোলাম বাজার পুলিশ ফারির মাধ্যমে সেতু উদ্ধার হয় এবং রাতে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। ১৭ এপ্রিল সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আতœহত্যা করে সেতু মন্ডল। সাবেক প্রেমিক সোহেল ও পলাশ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে তারা।