নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সাব-রেজিষ্টার হুমায়ুন বিন সিরাজের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ। রবিবার দুপুর ১২টায় অফিস চত্বরে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল থেকে কর্মবিরতি পালন করে আসছে কোম্পানীগঞ্জ দলিল লিখক কল্যাণ সমিতি। সাব-রেজিষ্ট্রার হুমায়ুন বিন সিরাজ গত ০৮ অক্টোবর ২০১৮ইং তারিখ থেকে বসুরহাট সাব-রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে দলিলের দাতা-গ্রহীতা ও লেখকদের সাথে অশালিন আচরণ, অনৈতিক ও অযৌক্তিক লেনদেন করে আসছে। অপরদিকে জমা খারিজ ছাড়া ও ভূয়া জমা খারিজ বানিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি দলিল লেখকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, আমার কথা না শুনলে তোমাদের রক্ত পাণ করব। নিবন্ধন যোগ্য লোকাল কমিশন দলিল রেজিষ্ট্রিতে নির্ধারিত কমিশন ফি ছাড়াও অতিরিক্ত ৫০ থেকে ৮০হাজার টাকা দাবী করেন এবং টাকা না পেলে দাতা- গ্রহীতার সামনে দলিল ছুঁড়ে ফেলে দেন। এর প্রতিবাদে কোম্পানীগঞ্জ দলিল লিখক কল্যাণ সমিতি নোয়াখালী জেলার ডি.আর বরাবরে সাব-রেজিষ্ট্রার হুমায়ন বিন সিরাজের অপসারণের দাবীতে লিখিত আবেদন করেন গত ২৩এপ্রিল ২০১৯। বিষয়টির অনুলিপি আইন মন্ত্রনায়ল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাব বরাবর প্রেরণ করেন।
এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ লিখক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক একরাম হোসেন জানান, এ সাব-রেজিষ্ট্রার যোগদানের পর থেকে সপ্তাহে ৫ দিন অফিস খোলা থাকলেও তিনি দুই দিন অফিস করেন এবং ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্ণীতিতে সাথে জড়িত। তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্ম-বিরতি পালন অব্যাহত রাখব।
এ ব্যাপারে বসুরহাট সাব-রেজিষ্ট্রার হুমায়ুন বিন সিরাজ জানান, দলিল লেখকগণ আমার নিকট বিভিন্ন
অনৈতিক দাবী, দলিল উপস্থাপন করলে মূল দলিলের সাথে জমা খারিজ, খাজনা দাখিলা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাহিয়া না পেলে জমি রেজিষ্ট্রি করতে অসম্মতি জানালে তারা আমার ক্ষিপ্ত হয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।