গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রেম প্রত্যাখান করায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী শিলা আক্তারের উপর বখাটেদের অ্যাসিড নিক্ষেপের প্রতিবাদ এবং শাস্তির দাবী জানিয়ে সহপাঠিরা ২৮ এপ্রিল রোববার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সভা করেছে। জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে শিলা থানা পুলিশের প্রহরায় কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ কর্ম বিষয়ে পরিক্ষা দিয়েছে।
আড়াল জিএল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মেধাবী ছাত্রী শিলার সহপাঠি, বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা সকাল ১০টা থেকে ঘন্টাব্যাপী কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান, অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মোঃ নিজাম উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মোস্তফা কামাল ও শিক্ষার্থী প্রমূখ। তারা অ্যাসিড নিক্ষেপকারী অন্যান্যের দ্রুত গ্রেফতার এবং বখাটে সাগরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠিন কর্মসূচি দিবেন বলে জানান।
কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অ্যাসিড দগ্ধ শিলা আক্তার কে দেখতে যান। পরে শিলা কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে থানা পুলিশের প্রহরায় রোববার অনুষ্ঠিত সমাজ কর্ম প্রথম পত্রের পরিক্ষা দিয়েছে। পরিক্ষা শেষে সে আবার চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ফিরে গেছে।
উল্লেখ্য, প্রেম প্রত্যাখান করায় স্থানীয় আড়াল ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজ উদ্দিন মাষ্টারের কন্যা এইচএসসি পরিক্ষার্থী শিলা আক্তার (১৮) গত ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে পরিক্ষা শেষে বাড়ি ফিরার পথে তরগাঁও খেয়াঘাট মোড়ে বখাটেদের অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হন। প্রেম প্রত্যাখাত সাগর ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের ছুড়া এসিডে শিলার দু’হাত ঝলসে যায়। সিএনজিতে ওঠার সময় একই গ্রামের প্রবাসী আলমগীর হোসেন বেপারীর পুত্র সাগর (১৮), সহোদর হৃদয় (১৭) ও একই এলাকার কাজলের পুত্র ফাহিম (১৯) এইচএসসি পরিক্ষার্থী শিলার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পরই জড়িত মুলহোতা সাগরকে থানা পুলিশ তার বাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। শিলা সনমানিয়া ইউনিয়নের আড়াল বেপারী পাড়ার কন্যা ও আড়াল জিএল স্বুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী। বর্তমানে সে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। ইতঃপূর্বে আড়াল এলাকায় একটি ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ফলে সে সময় একজন হত্যার শিকার হন। উল্লিখিত অ্যাসিড নিক্ষেপকারী বখাটে সাগর সে সময় হত্যা মামলার আসামি হয়। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রভাব খাটিয়ে সে সময় মামলাটি আপোষ-মিমাংশা করে।