বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির হাত থেকে ফসল বাঁচাতে দ্রুত বোরো ধান কেটে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। সোমবার সকালে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ মাইকিং করা হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হচ্ছে, যা ঘূণিঝড়ে রুপ নিতে পারে। আগামি মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়সহ ভারি বৃষ্টির সম্ভবনা থাকায় ইরি-বোরো ধানের ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে। এই উপজেলায় বোরো চাষীদের দ্রুত ধান কাটার জন্য আগাম সতর্কতা জারি করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পাকা ধানের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের সাবধান করতেই এ মাইকিং করা হচ্ছে। এবার উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে একটি পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৯ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, খেত থেকে ধান কেটে নিতে কৃষি বিভাগের এই মাইকিংয়ে তাঁরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই একে ঝড়ের পূর্বাভাস মনে করছেন। একদিকে ফসল রক্ষার চিন্তা, অন্যদিকে বাজারে ধানের দাম না থাকায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন।
পৌরসভার কালিকাপুর গ্রামের কৃষক রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘ঝড়ি হবি বলে কৃষি বিভাগ মাইকে ধান কাটবার কচ্চে। ঝড়ির ভয়ে হামি খ্যাতত কামলা লাগে দিছি। কামলারা ধান কাটিচ্চে ঠিকই, কিন্তু বাজারত খোঁজ লিয়ে দেকনো, ধানেত দাম নেই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মশিদুল হক বলেন, উপজেলায় মাঠে থাকা ইরি-বোরো ধানের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই পেকে গেছে। অনেক কৃষকেই খেতের ধান পুরোপুরি না পাকায় কাটছেন না। মাঠে থাকা বোরো ধানের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পেকে যাওয়া ধান কাটতে বলা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে পুরো ফসল যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য মাইকিংসহ উঠান বৈঠক, দলীয় আলোচনা, কৃষকদের পরামর্শসহ সচেতন করা হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।