যশোরের মণিরামপুরে জমিজমা ও পৈত্রিক স্যালো মেশিন নিয়ে বিরোধের জের ধরে শ্যালক যাদব সেনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক দুলাভাই গোপাল দাস (৭৭) পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে। গোপাল দাসের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে সুমিত্রা দাস। যাদব সেনকে পিটিয়ে হত্যা করে তারই সহোদর মদন সেন বলে অভিযোগ। নেপথ্যে নেতৃত্ব দেন পুলিশ হেফাজতে মৃত. গোপাল দাস। এসব অভিযোগ করেন নিহতের অপর ভাই মাধব সেন। রোববার সকালে নিহত হন যাদব সেন এবং এ ঘটনায় আটক গোপাল দাসের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়।
নিহত চিরকুমার যাদব সেন তারুয়াপাড়া গ্রামের মৃত. সুরেন সেনের পুত্র এবং পুলিশ হেফাজতে আটক মৃত. গোপাল চন্দ্র দাস একই গ্রামের মৃত. যতিন্দ্র নাথ দাসের ছেলে।
নিহতের সেজ ভাই মাধব সেন জানান, রোববার সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে উপজেলার প্রতাপকাটি গ্রামের ডুমোরবিল নামক স্থানে যাদব সেনের উপর লাঠি সোঠা নিয়ে হামলা করে মেঝ ভাই মদন সেন, ভাগ্নে সুবাস দাস ও কানাই দাস। এতে ঘটনাস্থলেই যাদব সেন মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত যাদব সেনের দুলাভাই গোপাল দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধারসহ ঘটনার সাথে জড়িত দুলাভাই গোপাল দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের এই কর্মকর্তা গোপাল দাস হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন দাবি করে জানান, নিহত যাদবের ভাই মাধব সেন বাদি হয়ে গোপাল দাসকে ১নং আসামি করে অপর ভাই মদন দাস ও গোপাল দাসের ৩ ছেলে উত্তম দাস, কানাই দাস, সুভাষ দাসসহ ৬ জনের নামে মামলা করে। যার মামলা নং -২৫।
এদিকে বিকেলে গোপাল দাস অসুস্থ হয়ে পড়লে মণিরামপুর থানা পুলিশ সন্ধ্যা ৬টা ২১ মিনিটে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপরই গোপাল দাসের মৃত্যু হয়।
মৃত. গোপাল দাসের মেয়ে সুমিত্রা দাস ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন, তার বাবা বয়োবৃদ্ধ হওয়ায় তাকে আটক না করতে পুলিশকে বার বার অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু অনুরোধে কর্ণপাত না করেই বাবাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। তার অপর তিন ভাই হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় তারাও বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কেউ বাবার খোঁজ নিতে পারেনি। তবে, কি কারণে তার বাবার মৃত্যু হয়েছে তা জানতে হাসপাতালে যেতে চাইলেও পুলিশ তাদের স্বজনদের বাঁধা দিচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।