পাবনার চাটমোহরে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এক স্কুলছাত্রী (১৩) কে ছুরিকাঘাত করে আহত করা ও অপহরণ চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ ২ কিশোরকে গ্রেফতার করেছে। গত রবিবার এদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের মহেলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান (১৬) ও আলতাব হোসেনের ছেলে কলেজ ছাত্র হৃদয় হোসেন (১৭)। যদিও গ্রেফতারকৃতদের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন গত ২২ এপ্রিল পুলিশ বাড়ি থেকে তাদের ধরে নিয়ে যায় এবং এক সপ্তাহ থানায় আটকে রেখে ম্বীকারোক্তি আদায় করে। পরে সোমবার (২৯ এপ্রিল) অপহরণ মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন,তাদেরকে রবিবার (২৮ এপ্রিল) স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করার চেষ্টায় দায়ের করা মামলায় রবিবারই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ এপ্রিল তাদেরকে আটক করা হবে কেন ?
গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে অজ্ঞাত মুখোশধারী দুই যুবক এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ছুরিকাঘাতে আহত করে। আহত স্কুলছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয়রা জানায়,জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার কাশিনাথপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে স্কুলছাত্রী লাবন্য নুসরাত মাহিয়া দীর্ঘদিন ধরে বোয়ালিয়া গ্রামে নানান বাড়ি থেকে পড়ালেখা করছে। সে উপজেলার মহেলা উচ্চবিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন বিকেলে নানা গোলজার হোসেন কাজের জন্য বাইরে যান। নানী মিনিয়ারা বেগম পাশের মাঠে ছাগল আনতে যায়। এই সুযোগে স্কুলছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে মুখোশধারী দুই যুবক বাড়িতে গিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে হাত-পা বেঁধে পানীয় জাতীয় কিছু একটা খাওয়ানো ও ধর্ষনের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে অপহরণ করারও চেষ্টা করে। এ সময় স্কুলছাত্রীর চিৎকার শুরু করলে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার দুই হাতসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুই যুবক।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ নাসীর উদ্দিন জানান,মেয়েকে ছুরিকাঘাত করা ও অপহরণের চেষ্টার দায়ে মামলা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ওই দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে।