ইচ্ছেমতো শট খেলার অনুমতি দিয়ে রাখা আছে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারকে। শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হতে গিয়ে তরুণ এই দুই ওপেনার প্রায়ই ফিরেন দ্রুত। মাশরাফি বিন মুর্তজা জানান, বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চেও শট খেলার স্বাধীনতা থাকবে তাদের। তবে একই সঙ্গে দুই সতীর্থদের ব্যাটে ধারাবাহিকতাও দেখতে চান অধিনায়ক।
নিউ জিল্যান্ডে সবশেষ সিরিজে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন লিটন। তিন ওয়ানডেতেই ফিরেন ১ রান করে। প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন আট বল, পরের দুটিতে চার বল করে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ দুই রাউন্ডে সেঞ্চুরি-ডাবল সেঞ্চুরি করে চাপটা কিছুটা সরাতে পেরেছেন সৌম্য। তার আগ পর্যন্ত সেভাবে রান পাচ্ছিলেন না বাঁহাতি এই ওপেনার। ওয়ানডেতে সবশেষ ১৫ ইনিংসের আটটিতে যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
তামিম ইকবালকে লম্বা সময় উইকেটে চায় বাংলাদেশ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভুলে বাঁহাতি এই ওপেনার মনোযোগ দিচ্ছেন দলের দাবি মেটাতে। এই সময়ে রানের গতি বাড়াতে লিটন-সৌম্যর দিকে তাকিয়ে থাকেন মাশরাফি।
“আপনারা দেখেছেন তামিমকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি লম্বা সময় ব্যাট করার। ও লম্বা সময় ব্যাট করলে আমাদের রানটা বড় হয়। ও একশ করলে আমাদের রান তিনশর কাছে যায়, তিনশও হয়েছে। তামিম তার খেলার ধরন পাল্টেছে দলের জন্য। তামিম এখন মনোযোগ দেয় ৪০ ওভার ব্যাট করার দিকে। ৫০ ওভার খেলার কথাও বলি কখনো কখনো।”
“তামিমকে যখন এই ভূমিকা দিচ্ছি তখন লিটন বা সৌম্যকে ওই স্বাধীনতা দিতে হয় যেন শটস খেলতে পারে। নিউ জিল্যান্ডে লিটন তিন ম্যাচেই মারতে গিয়ে আউট হয়েছে। সমালোচনা হয়েছে কিন্তু আমাদের দিক থেকে ওর ওপর কোনো চাপ ছিল না। কারণ চেয়েছিলাম, ওরা ফ্রি ক্রিকেট খেলুক।”
সৌম্য ও লিটনকে শট সিলেকশনে মনোযোগী হতে বললেন অধিনায়ক। বীরেন্দর শেবাগ, গিলক্রিস্টের মতো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ও ধারাবাহিকতাকে মিলিয়ে নিতে বললেন।
“স্বাধীনতা আছে মানে এই না যে, আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আউট হবে। আপনি যদি দেখেন শেবাগ বা গিলক্রিস্টের মতো কে মারত। কিন্তু ওদের ধারাবাহিকতা ছিল। লিটন, সৌম্যদের এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ওরা যদি পারফর্ম করতে পারে তাহলে দলের জন্য ভালো হবে।”