দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে সংসদ সদস্যের শপথ নেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়াজ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন আয়োজিত উন্নয়নের মৃত্যুকূপে জনজীবন/নুশরাত একটি প্রতিবাদ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শপথ নেওয়ার ব্যাপারে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে কোনো চিঠি দেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘স্পিকারের কাছে কোনো সময় চাইনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, কিছুকিছু পত্রিকা লিখেছে, আমি শপথের জন্য সময় চেয়েছি। একটি পত্রিকা লিখেছে, আমি আজ শপথ গ্রহণ করব।’ তিনি বলেন, ‘এটা সাংবাদিকতার এথিক্সের মধ্যে পড়ে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে শপথ নিয়েছি, এর জন্য অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সময়ই প্রমাণ করবে, শপথ নেওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত কি না। আগে আমরা শপথ নিইনি, তার মানে এখন নেবো না, তা তো হতে পারে না। আজকে যে শপথ নিয়েছি, সেটা ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করার জন্যই নিয়েছি।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘সবাই শপথ নিয়েছে, কিন্তু আমি শপথ নিইনি। এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হয়নি।’
সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সমঝোতা করলে অনেক আগেই তিনি এদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। আমরা কোনো বিদেশির পরামর্শে কিছু করিনি। আমরা চলমান রাজনীতি দেখছি। কথা বলার নূন্যতম যে সুযোগ সেটা কাজে লাগাতে। দানবকে পরাজিত করা জন্য শপথ নিয়েছি।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আসলে এত বেশি প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয় যে, বাংলাদেশ বড় উন্নয়নের জায়গা চলে গেছে। কোথায় উন্নয়ন হচ্ছে? উন্নয়নের নামে প্রহসন চলছে। উন্নয়নের দুর্নীতি চলছে, লুটপাট চলছে। ব্যাংককিং খাতকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশটা একটা মৃত্যুকূপে পড়েছে। গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন কখনও টেকসই হতে পারে না। জবাবদিহিতা না থাকলে টেকসই হতে পারে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।