গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত ‘প্যাসিফিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক’ এর পরিচালক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম সারোয়ারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলার প্রতিবাদে ২৯ এপ্রিল সোমবার রাতে কাপাসিয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন সারোয়ারের পরিবার। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোলাম সারোয়ার, প্যাসিফিক ক্যাবল নেটওয়ার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আনিস মোহাম্মদ বিন কাশেম, গোলাম সারোয়ারের সহধর্মিনী নাহিদ সারোয়ার, ছোট ভাই গোলাম শাহ্রিয়ার, দুই ছেলে নিলয় ও নিবির।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমরা ‘প্যাসিফিক ক্যাবল নেটওয়ার্ক’ নামে বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের বৈধ লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করছি। আমাদের বৈধ লাইসেন্স থাকা সত্বেও সম্প্রতি পাশ^বর্তী উপজেলা শ্রীপুরের মাওনা থেকে আসিফ ক্যাবল নেটওয়ার্ক এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আমাদের বৈধ ব্যবসার বিঘœ ঘটাচ্ছে। তারা চ্যানেল ডিস্ট্রিবিউটরদের উপর প্রভাব সৃষ্টি করে আমাদের বৈধ চ্যানেল প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে। এনিয়ে মাওনার আসিফ ক্যাবল নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় কাপাসিয়া ক্যবলস্ নামে নতুন করে এলাকায় নেটওয়ার্ক কার্যক্রম শুরু করে অপটিকেল ফাইবার টানানোর চেষ্টা করে। গত ২৩ এপ্রিল বিকালে কাপাসিয়ার অলক ও সোহরাব এবং শ্রীপুরের আসিফ ক্যাবলের বিল্লাল হোসেন ও আফছারের নেতৃত্বে কাপাসিয়া-ঢাকা সড়কে ক্যাবল বিস্তারের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা তাদের বৈধতা না থাকায় বাধা প্রদান করলে তারা আলোচনার প্রস্তাব দেয়। পরবর্তীতে ন্যামো ফিলিং স্টেশনে আলোচনায় বসলে এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তিসহ তাদের ভাড়াটিয়া ২০/২৫জন লোক লোহার রড, হকিস্ট্রিক ও ধারালো চাপাতি নিয়ে শালিসে এসে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে খুন করার হুমকি দেয় এবং তাদের কথা মতো কাজ করতে বলে। গত ২৮ এপ্রিল রোববার রাত ৮ টায় আমার বাড়ি থেকে প্রেসক্লাবে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে প্রতিপক্ষের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা মনির মাস্টারের বাড়ির সামনে আমার পথরোধ করে। তারা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, হকিস্ট্রিক দিয়ে পিটিয়ে শারিরিক ভাবে জখম করে। অজ্ঞাতনামা কিছু সন্ত্রাসী আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৩ হাজার ৭২৫ টাকা ও একটি অপ্পো মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। আমাকে চাপাতি দিয়ে মাথায় কোপ দিলে আমি মাথা সরিয়ে নিয়ে কোন রকমে জীবন রক্ষা করি। এ সময় কাপাসিয়া থেকে আসা একটি ট্রাক ঘটনা স্থলের কাছে পৌঁছলে লাইটের আলো দেখে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমার পরিবারের লোকজন আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কাপাসিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দেয়। এ ব্যাপারে আমি কাপাসিয়া থানায় (২৯ এপ্রিল) একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার পরিবার বর্তমানে আতংকগ্রস্থ ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এ ব্যাপারে সোহরাব হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি টেলিফোনে বলেন, আমাকে জড়িয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যে বক্তব্য এসেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। এটা তাদের অন্তকোন্দল বা ব্যক্তিগত ঘটনা হতে পারে। এ ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমরা বৈধ ভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্যাবল ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের লাইসেন্স নেই, এ কথাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ওরা প্রচার করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে অবহিত আছে।