পাবনার চাটমোহরের ইউএনও সরকার অসীম কুমারের পর এবার গত দরিদ্র হোটেল বয় গৌরের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম। গত সোমবার দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ে গৌরের মা অলোকা রানী দাসকে ডেকে তার হাতে ব্যক্তিগতভাবে নগদ ৬ হাজার টাকা তুলে দেন এবং শিক্ষা উপকরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন,কামরুল ইসলাম,তামান্না ইসলাম,আয়েশা সিদ্দিকা,উচ্চমান সহকারী শহীদুল ইসলাম,অফিস সহকারী রেবেকা খাতুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরআগে কয়েকদিন পূর্বে এক সময়ের ‘হোটেল বয়’ গৌর চন্দ্র দাসকে চাটমোহর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করে দেন ইউএনও। পরে তাকে হাত ধরে ক্লাসে বসিয়ে দেন তিনি। এরপর গৌরকে স্কুলে ভর্তি এবং তার মা অলোকা রানী দাসকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে সেলাই প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি করে দেন ইউএনও সরকার অসীম কুমার।
উল্লেখ্য,সাত বছর বয়সী গৌরের বাবা নির্মল চন্দ্র দাস মারা যাওয়ার পর সংসারে জেঁকে বসে অভাব। দিশেহারা মা অলোকা রানী দাস বাধ্য হয়ে গৃহকর্মীর কাজ নেন। বড় ছেলে মিলনকে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দোকানে এবং গৌরকে চাটমোহর শাহী মসজিদ মোড়ের একটি হোটেলে কাজে রাখেন। সমবয়সী শিশুরা যখন স্কুলে যায় তখন গৌরকে টেবিলে টেবিলে খাবার দিতে হতো। চায়ের কাপ নিয়ে দৌঁড়াতে হতো দোকানে দোকানে! দিনভর হাড় ভাঙা খাটুনির পর হোটেল মালিক তিন বেলা খাবারের সঙ্গে সপ্তাহে দিতেন ১৫০ টাকা! অভাবের তাড়নায় এভাবেই শিশু গৌর হয়েছিল ‘হোটেল বয়’। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গেšরকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার শিশু গৌর চন্দ্র দাসকে স্কুলে ভর্তি করানোসহ বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেন।