আশাশুনি উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ৩টি মহল্লার অবহেলিত জনপদের ৫৪টি পরিবার বিদ্যুৎ বঞ্চিত হয়ে চরম হাতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। পাশের সবাই বিদ্যুৎ পেলেও তাদের ভাগ্যে বিদ্যুৎ না জোটায় কতদিন তাদেরকে বঞ্চিত থাকতে হবে এ নিয়ে নানা প্রশ্নের অবতারনা হচ্ছে।
সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিতে ওয়াদাবদ্ধ ও নির্দেশ প্রদান করায় বিদ্যুৎ বিভাগ ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে ‘আলোর ফেরিওয়ালা’ নামে বিশেষ প্যাকেজের মাধ্যমে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে একই দিনে আবেদন ও জামানত গ্রহন করে সাথে সাথে মিটার স্থাপন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। কিন্তু ‘আলোর নীচে অন্ধকার’ প্রবাদ বাক্যের কিছু নমুনা আশাশুনিতে লক্ষ্য করা গেছে। আর এটি হচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তির অপতৎপরতার কারনে। এমনকি কিছু কিছু স্থানে উপরি দাবী অর্জিত না হওয়ার কারণে ঐ অসাধু চক্রের অপচ্ছায়ায় অপেক্ষাকৃত নি¤œ শ্রেণির মানুষ ও সাধারণ পরিবার অগ্রিম সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছেন। এমনই ৩টি মহল্লা হলো, কুল্যা ইউনিয়নের বাহাদুরপুর ঋষি পাড়া ও সংলগ্ন এলাকার অনুমান ৩০টি পরিবার, বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা ঋষি পাড়ার ১৬/১৭টি পরিবার এবং শোভনালী ইউনিয়নের শোভনালী ঋষি পাড়ার ৮ পরিবার। তাদের নিকটতম স্থান দিয়ে বিদ্যুৎ চলে গেছে, কিন্তু তাদেরকে সৌভাগ্যবানদের তালিকায় রাখা হয়নি। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে, সম্প্রতি এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করা হলেও কেবলমাত্র ঋষি পরিবারসহ তাদের লাগোয়া পরিবারগুলো বিদ্যুৎ বঞ্চিত রয়েছে। এমনকি ঐ সব এলাকার ডিজাইন পর্যন্ত করা হয়নি। অবহেলিত ও বঞ্চিত এসব পরিবারগুলো যোগাযোগ রক্ষা করতে পারছেনা, কিংবা তাদের হয়ে কথা বলার লোকের অভাবের কারণে তারা আর কতদিন বঞ্চিত থাকবে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আশাশুনি আঞ্চলিক অফিসের এজিএম মধূসুদন রায় বলেন, সকল এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। কেউ আগে কেউ পরে হলেও কেউ বঞ্চিত হবেনা।