নাটোরের বড়াইগ্রামে শ্রেণীকক্ষে বসে কীটনাশক পানে আতœহত্যার চেষ্টা করেছে ৭ম শ্রেণীতে পড়-য়া এক ছাত্রী (১৩)। প্রেমে বাধা দেয়ায় বাবার প্রতি অভিমানে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে সে স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বনপাড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কিছুদিন যাবৎ বনপাড়া মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীর শিহাব নামে এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার রাতে ঐ ছাত্রীর বাবা তাকে গালমন্দ করেন। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে আসার সময় মেয়েটি বাড়ি থেকে দানাদার জাতীয় কীটনাশক নিয়ে আসে। পরে দুপুরে শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে ঐ ছাত্রী শ্রেণীকক্ষে বসে কোমল পানীয়ের সঙ্গে মেশানো কীটনাশক সেবন করে। এ সময় তার সহপাঠীরা বিষয়টি বুঝতে পেরে শিক্ষকদের জানালে তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখান থেকে কিছু দানাদার জাতীয় কীটনাশক ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. গোলাম আরেফিন প্রিন্স জানান, তার চিকিৎসা চলছে। এখনও সে পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত নয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াসেক আলী সোনার জানান, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।