রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার গড়েরমাথা আর্দশপাড়া গ্রামে স্বামীর পরকীয়া ও দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠে স্বামীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় নিহতের স্বামী সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মতিয়ার রহমানের মেয়ে তানিয়া পারভীনের সাথে টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী উপজেলার আব্দুস সামাদের ছেলে সাইফুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকের নগদ দেড় লাখ টাকাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র দেয় তানিয়ার পরিবার। সাইফুল নিটল টাটা কোম্পানীতে চাকুরী করার সুবাধে রংপুরের মিঠাপুুকুরের গড়েরমাথা এলাকাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকে। বর্তমানে তাজ উদ্দিন নামে তার ৪ বছরের এক শিশু সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাইফুল ইসলাম তার স্ত্রীর নিকট যৌতুক হিসেবে আরো কিছু টাকা দাবি করে প্রায়ই তাকে নির্যাতন করত। এরই মধ্যে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার ঝর্ণা নামের এক মেয়ের সাথে তার পরকীয়ার সর্ম্পক গড়ে তোলে সাইফুল। সম্প্রতি স্ত্রী তানিয়াকে না জানিয়ে সকলের অগোচরে প্রেমিকা ঝর্ণাকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করে রংপুর নগরীতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী তানিয়া পারভীন তার স্বামীর প্রতি ক্ষিপ্ত হলে তাকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করে। মঙ্গলবার রাতে তানিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ রেখে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান সাইফুল।
স্থানীয়রা তানিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশ ও তার পরিবারকে জানায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। এব্যাপারে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে রিপোর্ট পেলে জানা যাবে, এটি হত্যা নাকি আত্মহতা। আমরা আজ বুধবার সকালে মিঠাপুকুরের লতিফপুর থেকে তানিয়ার স্বামী সাইফুলকে আটক করেছি। এঘটনায় নিহতের পরিবার একটি মামলা দয়ের করেছে।