রংপুরের মিঠাপুকুরে এক দিনমজুর কৃষককে হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই দিনমজুরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কৃষক এরশাদ মিয়া (৩২)
মিঠাপুকুর উপজেলার আট নং চেংমারী ইউনিয়নের মোসলেম বাজারের বড়বাড়ি গ্রামের মৃত ধিয়ান উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস এফএনএস কে নিশ্চিত করেছেন
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,নিহত কৃষক এরশাদ মিয়া কৃষিকাজ ছাড়াও ঢাকায় র্গামেন্টসে কাজ করে সংসার চালাতেন। ১১বছর পূর্বে ছড়ান বালুয়া এলাকার আছেমা বেগমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বনিবনা হতো না। এরশাদ মিয়ার পাঁচ বছরের মেয়ে তার বাবার সাথে থাকলেও স্ত্রী তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকতো। গতকাল রাতে স্ত্রী স্বামীর বাড়িতে এসে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে। পরে আজ সকালে স্ত্রীর কান্নার শব্দে প্রতিবেশীরা এসে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়।খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানার এসআই মোঃ ইদ্রিস আলী সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।তিনি প্রাথমিকভাবে লাশ তদন্ত করে জানা গেছে অন্ডকোষ চেপে ধরার কারণে তার মৃত হয়েছে বলে জানান।তবে তার শরীরে কোন স্থানে কোন প্রকার দাগ কিংবা ক্ষত চিহ্ন নেই।
এরশাদ মিয়ার পাঁচ বছরের মেয়ে সাদিয়া পুলিশকে জানান, আরোও দুইজন লোকসহকারে আমার মা বাবার মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ইদ্রিস আলী বলেন, একমাস আগে এরশাদ তার স্ত্রী বাড়িতে নেই বলে অভিযোগ করে। তাকে থানায় একটি জিডি করতে বললে জিডি করেছিল। আমি তাদের পরিবারের সাথে কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে আসা যায় কিনা সে বিষয়ে তাকে আশ্বস্ত করেছিলাম।
আজকে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারি গতকাল সে স্বামীর বাড়িতে এসেই ঝগড়া লাগে এবং একপর্যায়ে স্ত্রী স্বামীর অন্ডকোষ চেপে ধরার কারণে মৃত্যু হয়েছে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস বলেন- ‘লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলতেছি। খুব শীঘ্রই ঘটনার রহস্য উদ্ধার করতে পারবো এরশাদের স্ত্রী আছেমাকে জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।