ঘূর্নিঝড় ফনীর মোকাবেলায় সকল প্রস্তুুতি সর্ম্পন্ন করছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারন, মেঘনায় অবস্থানরত জেলে ও নৌকাসহ সকল ইঞ্চিন চালিত ট্রলারকে নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। রামগতির দ্বীপ চরগজারিয়া,তেলিরচর,বয়ারচর ও সদর উপজেলার চররমনী ও চরমেঘা এলাকা থেকে মানুষজনদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৭৬টি আশ্রয়নকেন্দ্রকে প্রস্তুত রাখা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটে সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল চন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া রেডক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিস ও কোষ্টগার্ডসহ আইনশৃংখলা বাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে একটি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। এ সময় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বধুবার বিকেলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে জেলা দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনার একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন,ঘূনিঝড় ফনী মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রসুÍুতি নেয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করে জনসাধারনকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নিদের্শ না দেয়া পর্যন্ত সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।