যশোর শহরের খড়কী এলাকায় আমিনুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিশুদের পরিবার-সদস্যসহ এলাকার লোকজন বিক্ষোভ করেছেন। স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী শিশুদের অভিভাবকরা জানান, ২০০০ সালে খড়কী দক্ষিণপাড়া পীরবাড়ি এলাকার বসবাস শুরু করেন আমিনুর। তার গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামে। তারা বাবা নাম আবদুল হানিফ। আমিনুর তিনি মেয়েসন্তানের জনক। অভিযোগ উঠেছে আমিনুর দীর্ঘদিন ধওে শহরের খড়কী শাহ আবদুল করিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছয় শিশুকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে আসছেন। ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণিপড়ুয়া এসব শিশুকে চকলেট, আমসহ নানা খাবার খাইয়ে ও খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তিনি এই অপকর্ম করে আসছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী আরা জানান, গত ২৮ এপ্রিল স্কুলের পরীক্ষায় পাঁচ শিশু অনুপস্থিত ছিল। কেনো তারা অনুপস্থিত, সে বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি জানতে পারি। প্রধান শিক্ষক জানান এ ঘটনা ২৫ তারিখে স্কুল থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় ঘটেছে। তবে তারা বিষয়টি জানতে পারে ২৮ তারিখে। পরে এ ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবকরা বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানায়। পরদিন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সাথে এ বিষয়ে বৈঠক করা হয়। এ সময় প্রধান শিক্ষাককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিঠি হঠন হয়। গত ১ মে এ কমিটির মিটিং চলছিল স্কুলে কিন্তু কোন সিন্তান্ত হয়নি। মিটিং চলা কালে অভিভাবক ও পুলিশ স্কুলে হাজির হয়। অভিভাবক ও ছাত্রীরা তাদের কাছে সরাসরি অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক জানান, এ আগে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত ১ মে রেশমা বেগম নামে এক অভিভাবক বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে থানা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে রেশমা বেগম বলেন, আমি মামলা করেছি।অপরাধির শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমি ছাড়বনা। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ( তদন্ত) সমীর কুমার সরকার জানান ,নির্যাতনের শিকার হয় শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থানায় এসছিলেন। এ ঘটনায় এক শিক্ষার্থীর বোন আমিনুল ইসলামের নামে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টিকে আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়ে কাজ শুরু করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আমিনুর রহমানকে ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।