ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার বিধ্বস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চারটি গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে ভাটায় আবার পানি নেমে যাওয়ায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু রাতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কায় এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাসহ সব জায়গার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে।
জানা গেছে, বিধ্বস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে তিন ঘন্টা ধরে পানি প্রবেশ করায় উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গরুভাঙা, মধ্য চালিতাবুনিয়া, বিবির হাওলা ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে তিন ঘন্টা পর পানির স্রোত কমে ভাটা লাগায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালের চাইতে রাতের জোয়ারে পানি বেশি বৃদ্ধি পেলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় ও অব্যাহত নদী ভাঙনের কারণে চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টের প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে বিধ্বস্ত হয়ে আছে। কিন্তু এই বেড়িবাঁধ মেরামত না করায় এই এলাকার মানুষের মধ্যে দুর্যোগের ঝুঁকি অনেক বেশি। সর্বশেষ এই ঘূণিঝড় ফণীর প্রভাবে জেয়ারের পানি বেড়ে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকেছে। তাই আমরা লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছি। এছাড়া অনেকে আবার পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।’ চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া বলেন, ‘চরআন্ডার ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকেছিল। আবার ভাটায় নেমে গেছে।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘প্রচুর লোকজন সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।’এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার ৫৪টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকদের নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে।’