তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি’র উদ্দেশে বলেছেন, ‘দেশের উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ সবকিছু নিয়ে নোংরা রাজনীতি করবেন না, দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ান, আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন, অতীতে মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম তামাশার জন্য ক্ষমা চান।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলের প্রচার উপ-কমিটির সভার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও প্রশ্নোত্তরকালে ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি, পদ্মাসেতু ও কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতিবাচক মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ প্রচার উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ভূখন্ডের দিকে ধেয়ে আসা ঘুর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সরকার সমস্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে যাবার আগে সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ ও দলের নেতাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে গেছেন এবং লন্ডন থেকে ‘মনিটর’ করছেন। দুর্যোগ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে, উপকূল থেকে মানুষ সরিয়ে নেয়া হয়েছে, নিয়মিত মাইকিং করা হচ্ছে, দলের প্রচার উপ-কমিটি এ বিষয়ে আজ সভা করছে।’
‘আমরা বিএনপি’র মতো লোক দেখানো বক্তব্য দেই না এবং তাদের অনুরোধ করবো নিজেদের চেহারাটা আয়নায় দেখতে, কারণ তাদের সিদ্ধান্তের গাফিলতিতে ১৯৯১ সালের ঘুর্ণিঝড়ে ২ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল, চট্টগ্রামে বিমানবন্দরে বিমান বাহিনীর অনেক বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল অনেক নৌজাহাজ’ বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রাণহানি ঠেকাতে যথেষ্ট সতর্কতা, বিমানগুলো ঢাকায় আনা আর নৌজাহাজগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিলে এ অপূরণীয় ক্ষতি হতো না। বিএনপি’র উচিত অতীতে মানুষের জীবন নিয়ে এ নির্মম তামাশার জন্য দেরিতে হলেও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।’
‘পদ্মাসেতু ও কর্ণফুলি নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কোনো প্রয়োজন ছিলো না’- বিএনপি মহাসচিবের এ মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ ও উপমহাদেশের প্রথম নদীর তলদেশে টানেল তৈরির প্রকল্প জাতির জন্য গর্বের। এ দু;টি প্রকল্প আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরো এক থেকে দু’ শতাংশ বৃদ্ধি করবে। আর বিএনপি বলছে, এর প্রয়োজন নেই! দুর্নীতিতে তারা দেশকে চারবার একক ও আরেকবার আফ্রিকার চাদের সংগে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন, তারা যে দেশের উন্নতি চান না, সেটা তারা তাদের কথা ও কাজ দু’য়েই প্রমাণ করছেন।’
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান এ সময় আসন্ন রমজান মাসেই দলের সব জেলার প্রচার, উপ-প্রচার এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকদের নিয়ে ঢাকায় একটি কর্মশালা ও সকল বিভাগীয় শহরে সকল শ্রেণি-পেশার তরুণদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সরাসরি যোগাযোগ ও সম্পৃক্তি বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান।