ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এখনো চলছে। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের গতিবেগ অনেকটা বেড়েছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করা হয়েছিল বলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানান।
প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান দাবদাহ কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দিয়েছে নতুন দূর্ভোগ। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের সতর্কতায় বোরোর পাকা ধান কাটতে মাইকিং করে কৃষি বিভাগ। এতে অনেক কৃষক মাঠের পাকা ধান কাটতে পারেনি।
দমদমা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, আমার ১৩ বিঘার জমির পাকা ধান মাঠে রয়েছে। এরমধ্যে দুই বিঘা জমির ধান কাঁটা হয়েছে। ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে পাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে।
রিধইল গ্রামের কৃষক ফজলুর রহমান বলেন, কৃষি বিভাগের সর্তকবার্তা পাওয়ার তিন বিঘা জমির ধান কাঁটা হয়েছে। কিন্তু এখনো ১৪ বিঘা জমিতে পাকা ধান রয়েছে। বাতাস ও বৃষ্টির কারণে কাঁটা যায়নি। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির কারণে মাঠের পাকা ধান ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এ ছাড়া শনিবার সকাল থেকে শহরে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মশিদুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হওয়ায় ধান মাঠিতে লুটিয়ে পড়লেও ক্ষতি হবে না।