বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিল্স এর উদ্যোগে “মহান মে দিবসের চেতনা, আইএলও কনভেনশন-১ এর শতবর্ষ পুর্তি এবং বাংলাদেশে কর্মঘন্টার বর্তমান পরিস্থিতি” বিষয়ক একটি সেমিনার ৪ মে ২০১৯, (শনিবার) সকাল ১০ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়।
বিল্স এর ভাইস চেয়ারম্যান এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আলহাজ¦ শুক্কুর মাহমুদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহা-পরিদর্শক শিবনাথ রায়। অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) সমন্বয়কারী মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বিল্স উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শহীদুল্লাহ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বিল্স মহাসচিব নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বিল্স সম্পাদক রওশন জাহান সাথী, এনসিসিডব্লিউই সদস্য সচিব নইমুল আহসান জুয়েল, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এড. একেএম নাসিম, আইএলও বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম, ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন প্রমুখ। সেমিনারে মহান মে দিবসের চেতনা, আইএলও কনভেনশন-১ এর শতবর্ষ পুর্তি এবং বাংলাদেশে কর্মঘন্টার বর্তমান পরিস্থিতি শীর্ষক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন বিল্স এর উপপরিচালক মোঃ ইউসুফ আল মামুন।
বক্তারা বলেন, কনভেনশন অনুস্বাক্ষর, সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং শ্রম আইনে উল্লেখ থাকলেও বাস্তব অর্থে আট কর্মঘন্টার বিষয়টি মানা হচ্ছে না। প্রাতিষ্ঠানিকের চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্র আরও বেশী অরক্ষিত। শ্রমশক্তি জরিপে অতিরিক্ত কর্মঘন্টার বিষয়টি পরিলক্ষিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বাস্তবে এটি আরও বেশী হতে পারে বলে তারা মন্তব্য করেন। তৈরী পোশাক খাতে অতিরিক্ত কর্মঘন্টার বিষয়টি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অতিরিক্তি সময়ের কাজের চাপে শ্রমিকরা দৈহিক, মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তারা বলেন, জীবন ধারণের উপযোগী মজুরি না পেয়ে শ্রমিকরা অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কাজ করতে বাধ্য হয়। কর্মঘন্টা, বিশ্রাম ও ছুটির বিষয়টি লংঘনের ক্ষেত্রে শাস্তির বিষয়টি অপ্রতুল উল্লেখ করে বক্তারা সকল কর্মক্ষেত্রে আট কর্মঘন্টা, বিশ্রাম, ছুটি ও বাঁচার মতো মজুরি নিশ্চিত করার দাবী জানান।