ঝালকাঠিতে ঘুর্নিঝড় ফনীর প্রভাবে সুগন্ধা ও বিষখালি নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বেড়ে যাওয়া জেলার নিন্মঅঞ্চলের প্রায় ২০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির চাপে কয়েকটি স্থানে বিষখালির বেড়িবাধে ভাঙন দেয়া দিয়েছে। কাঁঠালিয়ার আমুয়া ভেড়িবাধ ভেঙে পানি ডুকেছে।৷ তলিয়ে গেছে আমুয়া ফেরিঘাট। দূর্ঘটনা এড়াতে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার মজুদ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য অফিস ও মসজিদে মসজিদে মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নেয়ার ঘোষনা দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার গভীর রাত থেমে থেমে থেকে ধমকা হাওয়া ও ঝড়ো বৃষ্টিতে অর্ধশত কাচাঘরবাড়ি এবং গাছপালার এবং রবিশষ্যেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুর্নিঝড় ফণী মোকাবেলায় জেলায় ৭৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হলেও নদীতীরবর্তী কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে কিছু মানুষ আশ্রয় নিলেও অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্রই ফাকা রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আশ্রায় কেন্দ্রে মানুষ যেতে অনিহা প্রকাশ করছে। রাস্তাঘাট জন শূন্য লক্ষ্য করা গেছে।