ফনীর ছোবলের শিকার হয়েছে ফরিদপুরের দুটি উপজেলার দুটি ইউনিয়ন। এ দুটি ইউনিয়নে ২৮টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপড়ে গেছে দেড় শতাধিক গাছ। শুক্রবার বিকেলে মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ও রাতে সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নে এ ঝড় বয়ে যায়।
ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর, ফতেপুর, ভবানীপুর ও চক ভবানীপুর গ্রমে শুক্রবার রাতে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ১৮টি টিনের বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বেশির ভাগ বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। এ ছাড়া ওই চারটি গ্রামে লিচু ও আমগাছসহ অন্তত শতাধিক গাছ উপড়ে গেছে। তবে প্রাণহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি।
সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মজনু বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে। এ বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেল চারটা থেকে সোয়া চারটার মধ্যে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এর ফলে ৮টি টিনের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, উপড়ে অর্ধশত গাছ। তবে প্রাণহানীর কোন খবর পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীরা জানায়, ইউনিয়নের আখড়া এলাকা থেকে এ টর্ণেডোর আকারে ঝড় শুরু হয়ে প্রায়৭০০ মিটার অংশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, দরগা বাড়ি ও চর মোনহরদী গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যায়।
ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো. ইছাহাক বলেন, ঝড় শুরু হওয়ার পর মূহুর্তের মধ্যে সব লন্ডভন্ড করে দেয়। তবে প্রাণহানীর কোন খবর পাওয়া যায়নি।
সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার বলেন, ঝড়ের পর থেকেই ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করার কাজ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১০বাড়ির টিনের চাল উড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে ঘরের খাম্বাগুলি অক্ষুন্ন রয়েছে। তিনি বলেন, ঝড়ে অর্ধশত কিছু লিচু ও আম গাছ উপড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার বলেন, খবর পাওয়ার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের সরকারি উদ্যোগে প্রয়োজন অনুযায়ী সাহায্য দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রোকসানা রহমান বলেন, দ্রত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পুনর্বাসন কাজ শুরু করা হবে। তিনি বলেন, যাদের বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের টিন দেওয়া হবে। যাদের খাদ্যের প্রয়োজন তাদের খাবার দেওয়া হবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভান্ডারে প্রয়োজনীয় টিন ও খাবার মজুদ রয়েছে।