ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শুক্রবার বিকেল পযর্ন্ত চলছে। তবে দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ও বাতাসের গতিবেগ অনেকটা কমেছে।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে এলেও তার স্থায়িত্ব হয় ১০ থেকে ১৫ মিনিট। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করা হয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়। প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান দাবদাহ কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়। তবে বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দিয়েছে নতুন দুর্ভোগ। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের সতর্কতায় বোরোর পাকা ধান কাটতে কৃষি বিভাগ তাগিদ দেয়। এতে অনেক কৃষক মাঠের পাকা ধান কাটলেও আবার কেউ কাটতে পারেনি।
কদমা গ্রামের কৃষক মোহমিন আলী বলেন, আমার ১৩ বিঘার জমির পাকা ধান মাঠে রয়েছে। এর মধ্যে দুই বিঘা জমির ধান কাঁটা হয়েছে। ফণীর প্রভাবে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসের কারণে পাকা ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। সান্দিড়া গ্রামের কৃষক হেলাল রহমান বলেন, কৃষি বিভাগের সতর্ক বার্তা পাওয়ার তিন বিঘা জমির ধান কাঁটা হয়েছে। কিন্তু এখনো ১৪ বিঘা জমিতে পাকা ধান রয়েছে। বাতাস ও বৃষ্টির কারণে কাঁটা যায়নি। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির কারণে মাঠের পাকা ধান ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। এ ছাড়া শনিবার সকাল থেকে শহরে মানুষ ও যান বাহনের সংখ্যা কমে গেছে।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামারুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হওয়ায় ধান মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তেমন ক্ষতি হবে না।