রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ছয় মাসে বিদ্যুৎ আদালতের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকার বকেয়া বিল আদায় করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেড। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ৬ লাখ ৭৫ হাজার ২৭৯ টাকার। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ আইন পরিপন্থী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৩১৮টি।
রংপুর নগরীর জেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত বিদ্যুৎ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর-মার্চ পর্যন্ত ছয় মাসে রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় মোট ২৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মো. ওয়াজেদ কুরনী খান চৌধুরী। এর মধ্য দিয়ে মোট বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হয় ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৭০৩ টাকা।
সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবরে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয় ৩৫টি। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করা ৬ লাখ ৫০ হাজার ৬০৫ টাকার। এ সময় ক্ষতিপূরণ আদায় হয় ১৩ হাজার ৮৭৫ টাকা। একইভাবে নভেম্বরে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬১টি মামলা হয়। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হয় ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৯ টাকা ও ক্ষতিপূরণ আদায় হয় ২০ হাজার ৫৩৯ টাকার। ডিসেম্বরে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫৪টি মামলায় ২১ লাখ ২৩ হাজার ৫১৮ টাকার বকেয়া বিল আদায় করা হয়। এ মাসে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয় ৭৮ হাজার ৪৬৫ টাকার।
এছাড়া গত জানুয়ারিতে সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭৯টি মামলায় ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬৩ টাকার বকেয়া বিল ও ৯৮ হাজার ৩৪১ টাকার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৬২টি মামলায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হয় ৩০ লাখ ৭০ হাজার ৭১৩ টাকার। এ মাসে ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৯ টাকা। আর গত মার্চে দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২৭টি মামলায় ২০ লাখ ৯ হাজার ৯৪৫ টাকার বকেয়া বিল ও ২ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।
এ ছয় মাসে রংপুর জেলায় মামলা হয়েছে ৯৭টি, গাইবান্ধায় ১১৭, নীলফামারীতে ৩৬, লালমনিরহাটে ৫৬ ও কুড়িগ্রামে মামলা হয়েছে ১২টি। মামলার পর ১৪০ অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া বিল ও ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করে মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছে। এ সময় কোর্ট ফি আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ৯৬৬ টাকা।
নেসকো লিমিটেড রংপুর বিতরণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদৎ হোসেন সরকার বলেন, বিদ্যুৎ চুরিসহ আইন পরিপন্থী কাজে লিপ্ত গ্রাহকদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ওই ছয় মাসে বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যুতের সিস্টেম লস শতকরা ১ থেকে দেড় ভাগ কমানো সম্ভব হয়েছে