শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পাচগাঁও বাজারে ৩ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় মে দিবসের আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য দিতে এসে অর্থ আত্বসাৎ ও প্রতারনার অভিযোগে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন-রেজিং নং-বাজাফে-১৭ নামের সংগঠনটির ঢাকাস্থ ৪ব্যাক্তি কে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার তাদের কোর্টে প্রেরন করা হয়।
অত্র সংগঠনের নালিতাবাড়ী উপজেলার এনামুল হক নামে ব্যাক্তি বাদী হয়ে ৬ জনের বিরোদ্ধে ৪ ্এপ্রিল একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা নং-০৩।
আটককৃতরা হলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন সংঠনটির নেতৃবৃন্দ দাবীদার, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন সাধারন সম্পাদক এ এ ফয়েজ হোসেন (৫৫), প্রধান উপদেষ্টা গফুর মিয়া (৫৬), অত্র সংগঠনের যুগ্ন সম্পাদক ও মজলুম মানুষের মুক্তির আন্দোলনের (মা), এর আহ্বায়ক ফকির আবু ই্উসুফ সুলতান (৫৫) ও ঢাকাস্থ নির্মান শ্রমিক সংগঠনের ওমমান গনি (৬০)। এছাড়াও বাকি দুজন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন মজিদ (৪৫), কেন্দ্রীয় সদস্য ও শেরপুর জেলার সভাপতি রাজিয়া সুলতানা (৩৮)।
সংগঠন ও এলাকাবাসীর সূত্রে, নালিতাবাড়ী উপজেলার পাচগাঁও বাজারে গত ৩ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় অত্র সংগঠনের নালিতাবাড়ী উপজেলার নের্তৃবৃন্দের আমন্ত্রনে মে দিবসের আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে ঢাকা থেকে বক্তব্য দিতে আসেন অত্র ৬ব্যাক্তি। এছাড়াও অতিথি হিসাবে নালিতাবাড়ী উপজেলা হতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দিতে যান নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু। অনুষ্ঠান শেষে অত্র সংগঠনের সদস্য ও নের্তৃবৃন্দ উপজেলা চেয়ারম্যানের নিকট সদস্য দের নিকট হতে আইডি কার্ড বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়, মাতৃত্বকালিন অর্থ প্রদান, অসহায় শ্রমিকদের প্রায় লক্ষাধিক টাকার অনুদান পাইয়ে দেয়া, চাকুরী দেওয়ার নামে অর্থ আত্বসাৎ এবং অনুষ্ঠানের দিন সদস্যদের প্রায় ১২শ টাকার মত সামগ্রী প্রদান করা হবে মর্মে সদস্যদের মাঝে তা না দেওয়াসহ প্রতারনার অভিযোগ উঠায় এবং সু বিচার দাবী জানায়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ঢাকা থেকে আসা লোকজন ও শেরপুর জেলার সভাপতি রাজিয়া সুলতানার নিকট বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন-রেজিং নং-বাজাফে-১৭ নামের সংগঠনটির কাগজপত্র দেখতে চান এবং অভিযোগকৃত বিষয়াদীর ব্যাপারে জবাব চান। কাগজপত্র না দেখিয়ে রাজিয়া সুলতানা ও গফুর মিয়া অনুষ্ঠান হতে চলে যান। থেকে যান ঢাকাস্থ ৪ব্যাক্তি। সংগঠনটির শ্রমিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরে নালিতাবাড়ী পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু, পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক, সূধী মহলসহ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনায় বসে। কোন ফয়সালা না হওয়ায় অত্র ৪ ব্যাক্তি কে পুলিশের হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে এসআই বকুল বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাকি আসামীদের খোজা হচ্ছে। অভিযান চলছে।