ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তিন দিন বন্ধ থাকার পর সারা দেশে সব ধরনের নৌ চলাচল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) পরিবহন পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির জানান, রোববার সকাল ৬টা ৫ মিনিট থেকে নৌযান চলাচল শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা সদরঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় লঞ্চ সোনারতরী। তারপর থেকে সদরঘাট থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সারা দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ। সেইসঙ্গে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ধেয়ে আসায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করে। শনিবার দুপুর থেকে বিপদ সংকেত নামিয়ে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
এরপর রোববার সকালে দেশের চার সমুদ্রবন্দরে জারি করা সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সতর্কতা প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।