দীর্ঘ ৬ মাস যাবত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না বকশীগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এ- কলেজের এমপিওভুক্ত ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। ইতোমধ্যে বকেয়া বেতন-ভাতা ও ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদনের দাবিতে মানববন্ধন,অনশন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তবে এখনো কোন সুরাহা হয়নি।
কলেজ সূত্রে জানাগেছে,বকশীগঞ্জ উপজেলায় সু-প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এ- কলেজ। নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত এবং শিক্ষার মান ভালো হওয়ায় বিদ্যালয়টির সুনাম দীর্ঘদিনের। কিন্তু হঠাৎ করেই চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এ- কলেজের উপর দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ রুপী কিছু অমানুষের কু-নজর পরে। তারা উপজেলার মধ্যে শীর্ষ স্থানীয় ভালো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারা করতে থাকে। ওই চক্রের সাথে যোগ দেয় জালিয়াতির অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কৃত কিছু শিক্ষক। তাদের যোগসাজসে একটি কু-চক্রি মহল শিক্ষা প্রতিষ্টানটি ধ্বংসের মিশনে নামে। প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামসহ ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নামে বেনামে ভিত্তিহীন অভিযোগ দেন তারা। ভিত্তিহীন অভিযোগের সূত্র ধরেই অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের কাছে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের অসাধু একজন কর্মকর্তা। ঘুষ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় অসাধু ওই কর্মকর্তা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিমাতা সূলভ আচরণ করতে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকে নানাভাবে হয়রানিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির দারুন ক্ষতির সম্মুখিন করেন। তারই সূত্র ধরে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেনা ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী।
চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল এ- কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন,উপজেলার চন্দ্রবাজ রশিদা বেগম স্কুল এ- কলেজের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ডে একটি কমিটি জমা দেন তিনি। নির্ধারিত সময়ে কমিটি অনুমোদন না হওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন। চলতি বছরের ১৩ মার্চ কমিটি অনুমোদনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও নতুন ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন হয়নি। তিনি আরো বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক কোন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকলে নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সমন্বয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করেন। কিন্তু উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন শিক্ষক-কর্মচারীদের বিলে সুপারিশ করছেন না। ফলে ৬ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেনা এমপিওভুক্ত ২৯ জন শিক্ষক-কর্মচারী। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। তাই রমজানের আগেই বকেয়া বেতন-ভাতার দাবি জানান তিনি।
ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদনের জোড়ালো দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন,কোন কমিটি গঠনেই আমার বা কলেজের কোন শিক্ষকের কোন প্রকার আপত্তি নেই। কিন্তু যেহেতু পূর্নাঙ্গ একটি কমিটি জমা দেয়া আছে সেই কমিটি অনুমোদিত হলেইতো সমস্যার সমাধান হয়। এ ছাড়া বোর্ড যেহেতু এডহক কমিটির জন্য নির্দেশ দিয়েছে তাতেউ আমাদের কোন আপত্তি নেই। তাই এলাকার কোন শিক্ষানুরাগী, রাজনীতিবিদকে সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল আমার ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করার জন্য প্রশাসনের লোকজনকে সভাপতি করে কমিটি গঠনের জন্য পায়তারা করছে। এলাকার গন্যমান্য কাউকে সভাপতি করে এডহক কমিটি হলে আমার কোন আপত্তি নেই। তিল তিল করে গড়ে তোলা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের হাত থেকে বাচাঁতে বকশীগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জের উন্নয়নের রুপকার সাবেক সফল তথ্যমন্ত্রী বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ¦ আবুল কালাম আজাদ এমপি ও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।