মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে জনবসতি এলাকায় ডক ইয়ার্ড নির্মান করে একের পর এক জাহাজ নির্মান কাজ করায় হুমকীতে পরেছে ওই এলাকার জনস্বাস্থ্য। উপজেলার কামারগাও এলাকার ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদ ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র সংলগ্ন জনবসতি এলাকায় ফজলুল হক মেটাল নামে এ ডক ইয়ার্ডটি নির্মান করা হয়েছে। সরেজমিনে জানাযায়, ভাগ্যকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন শাহাদাতের মালিকানাধীন ফজলুল হক মেটাল নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি বাঘরা এলাকার মোতালেব নামে এক ব্যক্তি বছরের পর বছর ধরে ডক ইয়ার্ডে জাহাজ নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কামারগাও এলাকার কাজল গাজী , মাফুজ খান আষিক সহ একাধিক ব্যক্তি জানায়, প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত আশপাশের মানুষকে শুনতে হয় ডক ইয়ার্ডে জাহাজ নির্মান শ্রমিকের হ্যামাড়ের পিটুনি, গ্যাস কাটার দিয়ে লোহা কাটা, ওয়েলডিং ও গ্যানিংমেশিনে মারাত্বক শব্দ। অনবরত ওয়েলডিংয়ের কাজ চলায় এর রশ্মি অনেক দূর পর্যন্ত ছরিয়ে এলাকার সাধারন মানুষের চোখের রেটিনার মারাত্তক ক্ষতি করছে। তবে সবচাইতে মারাত্তক ক্ষতি করছে শব্দদূষন। মারাত্বক শব্দের কারণে এলাকার সকল বয়সের মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে পরেছে। সকল বয়সের মানুষের কাছে এ শব্দ একটি বিরক্তের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বড়রা কোন রকমে শব্দদূষন সহ্য করতে পারলেও বেশির ভাগ আক্রান্ত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। এছারা অতি মাত্রায় শব্দদূষনের কারণে শ্রবন শক্তি হ্রাস,বধিরতা, হৃদরোগ, মেজাজ খিট খিটে, ব্লাড প্রেসার, ব্রেইন ষ্টোক, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বিঘিœত, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা, স্টেজ হরমন বেড়ে গ্যাসটিক আলছারসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। কখনও কখনও সারা রাত লোহায় হ্যামারের তিব্র শব্দে এক এলাকা থেকে পৈাছে যায় অন্য এলাকায়। তীব্র শব্দ কখনও কখনও কম্পিত হয়ে ওঠে মাটি। এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলা কালিন সময়েও থেমে থাকেনা জাহাজ নির্মান কাজ। এ ছাড়া আশপাশে কেউ অসুস্থ কিংবা কারও মৃত হলেও থেমে থাকেনা নির্মান কাজ। এ ক্ষেত্রে দুর্বল হার্টের মানুষ ও শিশুরা পরে চরম সমস্যায়। যে কোন সময় ঘটতে পারে তাদের কঠিন বিপদ। শব্দ আমাদের কান ও ব্রেইনের মারাত্বক ক্ষতি করে থাকে। এছারা ডক ইয়ার্ডে বৈদ্যতিক সংযোগও রয়েছে ঝুকিপূর্ন। গত বছর বিদ্যুতের স্পৃষ্টে মারা যায় জাহাজ নির্মান শ্রমিক মোবারক ফকির নামে এক ব্যক্তি। জনবসতি এলাকায় ডক ইয়ার্ড নির্মান বিষয়ে মালিক মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবেশ ছাড় পত্রসহ সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। জনবসতি এলাকায় ডকইয়ার্ড নির্মান বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কারও সমস্যা সৃষ্টি কারা যাবেনা। জনগনের সমস্যা সৃষ্টি হলে, অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।