স্বাস্থ্য সেবাই সারা দেশের মডেল ১০০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালে রয়েছে ডাক্তার নার্স সঙ্কট। এখানে চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন প্রতিদিন শত শত মানুষ। প্রতিদিন গড়ে ৩’শ রোগি চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন এখানে। শিশু ওয়ার্ডের ৭ টি বেডের স্থানে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ জন শিশু। হাসপাতাল মেঝেতেই রোগিদের দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। আর চিকিৎসকরা হিম-শিম খাচ্ছেন রোগিদের সেবা দিতে। তারপরও চিকিৎসা সেবাই এ হাসপাতাল আজ দেশের মডেল হিবাবে পরিনত হল। জেলার সাধারণ মানুষের এ কষ্টের দিন শেষের পথে। এবার এই হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করতে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। হাসপাতালটির ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে থাকবে ১৫টি কেবিন ব্লক, ৫টি অপারেশন থিয়েটার। এ ছাড়া থাকবে আইসিইউ বিভাগ, সিসিইউ বিভাগ, সিটিস্ক্যান ব্যবস্থা, এম আরআই, বহির্বিভাগ চিকিৎসা ব্যবস্থা, নিজস্ব বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, চলাচলের জন্য ৩টি সিঁড়ি ও ২টি বেড লিফ্ট। স্বাস্থসেবাই এ হাসপাতালটি হবে দেশ সেরা ও সেবার প্রধান স্থান। দ্রুত এ হাসপাতালটি চালু হলে বর্তমান সমস্যা দূর হবে আর রোগিরাও পাবেন চিকিৎসাসেবা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বাখরবা গ্রামের নাজমা বেগম বলেন, আমি ৩ দিন হলো আমার ছেলে নিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করেছি। ৩ দিন পরও বেড পাওয়া যায়নি। বেড স্বল্পতার কারণে আমাদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। দ্রুত হাসপাতালটি চালু হলে এ সমস্যা থাকবে না।একই উপজেলার বসন্তপুর গ্রাম থেকে আসা নজরুল ইসলাম বলেন, এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভাল। কিন্তু জনবল সংকট ও স্থান সংকুলান না হওয়ায় রোগি ও রোগির স্বজনদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে আশার কথা হচ্ছে ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মাণ শেষ হলে মানুষের এ ভোগান্তি থাকবে না।
হাসপাতালের সিনিয়র কনসালনেন্ট (মেডিসিন) ডা: মোকাররম হোসেন বলেন, হাসপাতাল চালু হওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত জনবল ও উপকরণ দিলে হাসপাতালের সেবার মান আরও উন্নত করা যাবে। দরকার প্রয়োজনীয় ও মান সস্মত ডাক্তার, অন্যান্ন কর্মচারী এবং নার্স।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: আইয়ুব আলী বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৮ কোটি টাকা। যার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ বছরের জুন মাসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিল্ডিং হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। তবে ২ মাস বেশি সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। হাসপাতালটি জেলার মধ্যে একটি মডেল হিসাবে পরিচিতি লাভ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এখানে সব ধরনের চিকিতসা পাওয়া যাবেবলে উপরি মহল সেভাবে ভবনটি নির্মান করেছে। অনেকে ধারনা করছে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে যে পরিমান ডাক্তার থাকার প্রয়োজন তা কর্মরত থাকবেন কিনা সেটা নিয়ে চলছে অনেক জল্পনা কল্পনা। কিন্তু চিকিতসকরা বলছেন এ হাসপাতালে চিকিতসার মান ভাল হবে। যা স্বাস্থ্য বিভাগ সেভাবেই পরিকেল্পনা গ্রহন করেছে।