বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার খিলিগাতী গ্রামে বাগেরহাট পিসি কলেজের ছাত্র রুবেল হাওলাদার (২৫) প্রতিপক্ষের নির্মম নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে শনিবার তার মৃতদেহ পরীক্ষা-নীরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। মুমুর্ষ আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নেয়ার পথে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের চাচা নান্নু হাওলাদার জানান, ১৯৯৬ সাল হতে ওই হামলাকারীদের সাথে তাদের জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ আছে। পুরনো জের ধরে পরিকল্পিতভাবে এই নির্মম নির্যাতন ও হত্যা হয়েছে। ঘটনা সমপর্কে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রুবেল হাওলাদার বাগেরহাট সরকারী পিসি কলেজের ¯œাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। নিহত রুবেল তিন ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। তার পিতা মহসীন হাওলাদার ২০১৬ সালে মারা যায়। বাড়িতে মায়ের কাছে থাকতো সে। পড়াশুনার পাশাপাশি সংসারের হাল ধরে রেখেছিল সে। গত বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রুবেল হাওলাদারকে একই গ্রামের আজিজ ফকিরের ছেলে লালন ফকির ডেকে নিয়ে যায়। খিলিগাতী বাজারের বটতলায় একটি মাছের ডিপোতে বসে গল্প করতে থাকে। সেখানে কিছুক্ষণ পরে হাজির হয় লালনের ভাই রেজাউল ফকির। তার নিকট মাছের পোনা বিক্রির পাওনা টাকা চায় রুবেল। শুরু হয় বচসা। একপর্যায়ে রেজাউল ফকির, রাজু ফকির, মিজানুর, মিলন, টিংকু, মিন্টু, লিয়াকত, শওকতসহ তাদের লোকজন রুবেল হাওলাদারকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানোসহ নির্মমভাবে নির্যাতন করে। রুবেল জ্ঞান হারালে তাকে ফেলে ওরা বীরদর্পে চলে যায়। ভয়ে খিলিগাতী বাজারের কেউ ওদের ঠেকাতে যেতে সাহস পায়নি বলে তিনি জানান। নিহতের মা শিরিনা বেগম বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় মামলা করেছেন। মামলা নং-০২, তারিখ-০২/৫/২০১৯।
নিহতের ছোট ভাই মোঃ রাজু হাওলাদার বলেন ‘ওরা আমার ভাইকে সেই নিষ্ঠুর নির্যাতন করেছে। কতটা ভয়ঙ্কর হলে একজন মানুষের অন্ডকোষে আঘাত করা যায়! তাও করেছে। আমি এই খুনের বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রার্থণা করি।’
চিতলমারী থানার পরিদর্শক অনুকূল সরকার জানান, মামলা তদন্তাধীন এবং আসামীদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।