রংপুরের পীরগঞ্জে দিনব্যাপি খাদ্য ভেজালে মানবদেহে প্রভাব ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আঞ্চলিক কার্যালয় পীরগঞ্জের উদ্যোগে ওই অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, পীরগঞ্জ ও গাইবান্ধার বিভিন্ন এনজিও’র প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম ও বণিক সমিতির সদস্য, পীরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ ৩৯জন ব্যাক্তি অংশগ্রহণ করে। কোরআন তেলয়াতের মধ্যদিয়ে কর্মশালার সভাপতি বারটান আঞ্চলিক কার্যালয়ের উধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: ছাদেকুল ইসলাম বারটানের কার্যক্রম ও গুরুত্ব উপস্থাপন করেন। এ সময় তিনি বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা বাস্তবায়ন এবং গণমাধ্যমে সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশের জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়নে অবদান রাখা বারটানের উদ্দেশ্য। বরেন্দ্র অঞ্চলের সাঁওতাল ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির কৃষিজ উৎস থেকে যথাযথ খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা পুরণ এবং অপুষ্টিতে ভোগা মানুষদের বসতবাড়িতে সবজি বাগান ও পুষ্টি জ্ঞান প্রভাবসহ ২টি বিষয়ে গবেষণা করছে এই আঞ্চলিক কার্যালয়টি। বারটানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মারুফুর রহমানের উপস্থাপনায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড প্রসেসিং এ- প্রিজারভেশন বিভাগের ডীন প্রকৌশল অনুষদ ও অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদ। প্রধান আলোচক হিসেবে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এ- টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. মো: সাজ্জাত হোসেন সরকার। ড. মারুফ আহমেদ বলেন, ভেজাল খাবার মানে নিরব ঘাতক, ভেজাল খাবার নির্ণয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে, জিডিপি বাড়লেও খাদ্য ভেজালমুক্ত না হলে এদেশ উন্নত দেশে প্রবেশ করবে না। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো অত্যান্ত জরুরী। ড. মো: সাজ্জাত হোসেন সরকার বলেন, একটি জাঁতি উন্নততর সম্ভব তখনি যখন সে জাঁতি পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার খাবেন। তাহলেই সে জাঁতি উন্নত জাতিতে পরিনত হবে। কর্মশালায় খাদ্য ভেজাল, পুষ্টিকর খাদ্য, নিারাপদ খাদ্য নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মমিন, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আলী, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোকসেদ আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক এটিএম মাজহারুল আলম মিলন, কছিমননেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম মান্নু, এনজিও কর্মী তৌফিকুল ইসলাম প্রমুখ অংশগ্রহণ করে।