দেবহাটায় ঘূর্নিঝড় ফনির আক্রমণ ঠেকাতে জনসাধারনের পাশে থেকেছেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। সাধারন মানুষকে সচেতন করতে এবং সময়মতো উপকূল তীরবর্তী মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে ইউএনও সার্বিক তদারকি করেছেন। যার কারণে উপজেলায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিন যাবৎ ফনির আক্রমত থেকে সাধারন মানুষকে সচেতন করতে এবং জানমাল রক্ষার্থে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে কাজ করা হয়। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বৃহষ্পতিবার ও শুক্রবার দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন সার্বিক তদারকি করে এই উপজেলার উপকূল তীরবর্তী সাধারন মানুষের পাশে থেকে তাদেরকে সচেতন করে যথা সময়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। উপজেলার কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৭/৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নেয়। উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খুলে সেখান থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন। এ ছাড়া উপজেলার ইছামতি নদীর ক্ষতিগ্রস্থ ভেড়ীবাধগুলো নিজে পরিদর্শন করে তড়িৎ গতিতে সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। নওয়াপাড়া এলাকার শ্লুইচ-গেটটি ভাঙার খবর পেয়ে ইউএনও তাৎক্ষনিক নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমানকে সাথে নিয়ে লোকজন দিয়ে শ্লুইচ-গেট রক্ষার্থে কাজ করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে পরিদর্শন করে আশ্রিত সাধারন মানুষের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের নিরাপদে থাকার পরামর্শ প্রদান করাসহ তাদেরকে সাহস দিয়েছেন। যার কারণে এই এলাকায় তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ইউএনও ইকবাল হোসেন জানান, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও সাধারন মানুষকে ঝড়ের কবল থেকে রক্ষার্থে তিনি কাজ করেছেন। তিনি বলেন, প্রকৃতি প্রদত্ত দূর্যোগ থেকে জনগনকে সচেতন করা গেলে অনেক ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় আর তাই যতটুকু সম্ভব হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেকাজ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই ধরনের দূর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে তিনি সকল শ্রেনী পেশার মানুষের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানবৃন্দ, সকল ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাধারন মানুষের সহযোগীতা পেয়েছেন বলে ইউএনও জানান।