রাশিয়ার এরোফ্লোট এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৪১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু এবং একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট রয়েছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। ৭৮ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় মস্কোর শেরেমেতিয়েভো বিমানবন্দর থেকে মুরমানস্কের দিকে রওনা হয়েছিল এরোফ্লোটের ফ্লাইট এসইউ ১৪৯২। কিন্তু ওড়ার পরপরই পাইলট যান্ত্রিক গোলযোগের কথা জানিয়ে বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সাহায্যের আবেদন করেন এবং জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেন। শেরেমেতিয়েভোয় জরুরি অবতরণের পরপরই সুখোই সুপারজেট-১০০ উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায় এবং মুহূর্তের মধ্যে সেটি আগুনের গোলায় পরিণত গয়। সোশাল মিডিয়ায় আসা ভিডিওতে দেখা যায়, আরোহীরা জ¦লন্ত উড়োজাহাজের ইমার্জেন্সি এক্সিট দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, ওই উড়োজাহাজ যেভাবে জ¦লছিল, তাতে কেউ বের হয়ে আসতে পেরেছে এটাই ছিল ‘বিস্ময়কর’। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান ভেরোনিকা স্কোভরতসোভা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওই উড়োজাহাজের ছয়জন আরোহী হাসপাতালে আছেন, তাদের তিনজনের অবস্থা গুরুতর। এরোফ্লোট এয়ারলাইন্স বলেছে, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে পাইলট জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হন। তবে কী ধরনের জটিলতা তৈরি হয়েছিল, সে বিষয়টি তারা স্পষ্ট করেনি। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রীদের বাঁচানোর জন্য সম্ভব সবকিছু করেছেন পাইলট ও ক্রুরা। অবতরণের ৫৫ সেকেন্ডের মধ্যে তাদের বের করে আনা হয়েছে। বিমানের পাইলট নিরাপত্তা বিধি ভঙ্গ করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে রাশিয়া।