সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার মধুপুর গ্রামের উদ্বব দাস ও শিখা দাসের ছেলে শিমুল দাস এসএসপি পরীক্ষা সিলেট টেকনিক্যাল স্কুল এ- কলেজ এর কম্পিউটার এ- ইনফরমেশন ট্যাকনোলজি ট্রেড থেকে এপ্লাস পেয়েছে। শিমুল তিন বছর বয়স থেকে কাকা ডা. স্বাধীন কুমার দাস ও কাকিমা দিরাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিপা সিনহার সংসারে সিলেটে অবস্থান করে লেখাপড়া করছে।
শিশুল সম্পর্কে তার কাকিমা দিরাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রিপা সিনহা অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন এভাইে, আমাদের ছোট্ট শিমুল (মেজ ভাসুরের ছেলে) বংশের বড় সন্তান, এসএসসি তে এপ্লাস পেয়েছে। শিমুল সিলেট টেকনিক্যাল স্কুল এ- কলেজ এর কম্পিউটার এ- ইনফরমেশন ট্যাকনোলজি ট্রেড এর ছাত্র। ওদের স্কুলে ৭০০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৩ জন এপ্লাস পেয়েছে।
শিমুলকে আমি আমার বড় সন্তানই মনে করি সকাল থেকে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। আমার বারবারই মনে পরছিল, ওকে যখন গ্রাম থেকে সিলেটে নিয়ে আসি, ও তখন খুবই ছোট ছিলো। তিন সাড়ে তিন বছর বয়স হবে, কিছুদিন পর যখন ওকে নার্সারীতে ভর্তি করাই প্রথমদিন স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি ওকে বলেছিলাম বাসার সবাইকে প্রনাম কর, ও একে একে সবাইকে প্রনাম করল, এমনকি তার ছোট ভাই শৈবালকে ও যখন প্রনাম করতে যাচ্ছিলো তখন ওর মা বলল এই কি করছিস ওতো তোর ছোটভাই, সাথে সাথে ওর সহজ সরল উক্তি কাকিমনি বলছে বাসার সবাইকে প্রনাম করতে।
সেই শিমুল অনেক বড় হয়ে গেছে, ওর সাথে এখন অনেক কথা শেয়ার করা যায়, ছোটবেলা থেকেই ওর অভ্যাস বাইরে থেকে এসে কী হলো না হল সব কিছু গড়গড় করে আমাকে বলতেই হবে। আপনারা সবাই ওর জন্য দোয়া/আর্শীবাদ করবেন ও লেখাপড়া করে যেন একজন সত্যিকারের মানুষ হতে পারে।