রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় যৌতুকলোভী এক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় পাষন্ড স্বামীর নির্মম প্রহারে মারাতœক আহত হয়ে স্ত্রী রোমানা খাতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে লড়ছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মামলার সুত্র,রোমানার পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়,বাবনপুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর মেয়ে রোমানার সাথে একই গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে হোসেন আলী তোতার বিয়ে হয় বিগত ২০০৯ ইং সালে। জামাতার দাবির কারণে মেয়ের সুখের কথা ভেবে ব্যবসা করার জন্য জমি বিক্রি করে ৬ লাখ টাকা তুলে দেন জামাতা হোসেন আলী তোতার হাতে। এরপর সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। ইতোমধ্যে এদের সংসারে ৩ সন্তানের জন্ম হয়। কয়েক বছর পর আবারও টাকার জন্য রোমানাকে চাপ দেয় যৌতুক লোভী স্বামী। এতে অপারগতা প্রকাশ করায় রোমানাকে নির্দয়ভাবে প্রহার করে। অনন্যোপায় রোমানা বাধ্য হয়ে হত ৮ এপ্রিল পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরে ব্যর্থ হবার পর আদালতের স্মরনাপন্ন হন। বিজ্ঞ আদালত রোমানার অভিযোগ আমলে নিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। দায়িত্ব পাবার পর মহিলঅ বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা ইয়াসমীন গত ৫ মে দু পক্ষকে তাঁর দপ্তরে হাজির হতে বলেন্। তোতা সেখানে হাজির হবার পরিবর্তে ২ দিনের সময় নিয়ে পরদিন ৬ মে সোমবার রোমানাকে নির্দয়ভাবে প্রহার করে। মারাতœক আহত রোমানা পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে।