কিশোরগঞ্জ শহরের বড়বাজার এলাকার অভিজাত আবাসিক হোটেল ক্যাসেল সালামে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে আটক ৮ মক্ষীরাণীসহ ৮ যুগলকে অর্থদন্ড আদায়ের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার (৬ মে) রাতে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল আলম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটক ১৬ জনের প্রত্যেককে বিভিন্ন অংকের অর্থদন্ড প্রদান করেন। পরে অর্থদন্ড আদায়ের পর তাদের সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এর আগে সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যার আগে শহরের বড়বাজার এলাকার অভিজাত আবাসিক হোটেল ক্যাসেল সালামে অভিযান চালায় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। অভিযানে হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৮ তরুণ এবং ৮ তরুণীকে আটক করা হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবুবকর সিদ্দিক জানান, অভিযানের সময় যাদের আটক করা হয়েছিল, প্রত্যেকেই বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। অভিযানের আগে তারা বুঝতেই পারেননি যে, আবাসিকের আড়ালে হোটেলটিতে এমন অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। আবাসিক হোটেলে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ওসি জানান।
এদিকে ক্যাসেল সালামের মতো শহরের অভিজাত একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ তরুণ-তরুণীর আটক হওয়ার বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়। রোজা শুরু হওয়ার আগের সন্ধ্যায় এ রকম একটি অভিযান পরিচালনা করা জন্য সচেতন মহল পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় আবাসিক হোটেলগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।