যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বাঘারপাড়া -বসুন্দিয়া জোনাল অফিসের আওতায় হাজার- হাজার গ্রাহক বিল পরিশোধে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এ এলাকার গ্রাহকরা ১০ থেকে ২০ কিঃমিঃ দুরে উপজেলা সদরে গিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন। সম্প্রতি স্থানীয় সোনালী ব্যাংক গুলিতে বিদ্যুৎ বিল না নেওয়া এই ভোগান্তিতে পড়েছে। আবার নতুন নিয়ম বিকাশ এজেন্ট অথবা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের যে নিয়ম করা হয়েছে গ্রাম বাংলার বেশির ভাগ গ্রাহক তা বুঝতে পারছে না। ফলে তারা এ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে একপ্রকার নাজেহাল হয়ে পড়েছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায় একই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ২জনে বেশি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায় না। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বিকাশ থেকে এক হাজার টাকার বেশি বিদ্যুৎ বিল হলে ১৫/- টাকা বেশি ভ্যাট কাটে। মাসের ৩০ তারিখে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যায় না। নেট ওয়ার্কের সমস্যার হলে বিদ্যুৎ বিলের ম্যাসেস আসে না সেক্ষেত্রে পুনরায় আবার পরিশোধের জন্য চেষ্টা করতে হয়। আবার সব গ্রাহকরা মোবাইল ব্যবহার করেন না। যারা করে তাদের বেশির ভাগ লোকেরই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নেই কোন কারণে বিলম্ব বিল পরিশোধের তারিখ পার হলে এই বিল বিকাশের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব হয় না। এইসব একাধিক কারণে বেশির ভাগ গ্রাহক সময় এবং অর্থ ব্যয় করে ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বিদ্যূৎ অফিসে গিয়ে বিল পরিশোধ করছেন। গ্রাহদের দাবী ডিজিটাল যুগে প্রতান্ত অঞ্চলের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে আধুনিক যুগপোযোগী সহজ কোন পদ্ধতি স্ব স্ব এলাকায় চালু করা হোক। কর্তৃপক্ষ কাছে গ্রাহকদের এটাই সময়ের দাবী।