১৩ দিন বাগেরহাট হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবেশেষে মারাগেল সেই অজ্ঞাত প্রতিবন্দি শিশুটি।মৃত্যুর আগে আপনজনের মুখ দেখারও সৌভাগ্য হল তার। পুলিশ, চিকিৎসক ও সমাজসেবা কর্মকর্তাদের নানা চেষ্টা ব্যর্থ করে মঙ্গলবার দুপুরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে গেল বাক ও শারীরিক প্রতিবন্দি শিশুটি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, অজ্ঞাত প্রতিবন্দি শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি ছিল। আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছি তাকে সুস্থ করার জন্য। সর্বশেষ উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল।খুলনা নেয়ার আগেই দুপুর দুইটার দিকে মারাযায় শিশুটি।
এমএম আহসান আলী বলেন, মাজার থেকে তুলে এনে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। নিয়মিত খোঁজ খবরও নিয়েছে কয়েকদিন। চিকিৎসকের মাধ্যমে শিশুটির মরা খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে।
বাগেরহাট সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা এসএম নাজমুস সাকিব বলেন, চিকিৎসার জন্য খুলনায় নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু খুলনা নেয়ার আগেই শিশুটি মারা গেল।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাহতাব উদ্দিন বলেন, চিকিৎসকের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি হাসপাতালে অজ্ঞাত (১৩) প্রতিবন্দি শিশুটি মারা গেছে। ওই শিশুটির পরিবারের সন্ধ্যানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। যদি পরিবারের কেউকে না পাওয়া যায় তাহলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আগামীকাল আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের সহায়তায় দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব।
গত ২৫ এপ্রিল রাতে বাগেরহাটের খানজাহান আলী (রহ) এর মাজারের ভিতরে পূর্বপাশের একটি খাটের উপর থেকে শিশুটিকে তুলে এনে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন সুন্দরঘোনা গ্রামের এমএম আহসান আলী।এরপর থেকে শিশুটিকে বাগেরহাট সদরহাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা দিচ্ছিল কর্তৃপক্ষ।