বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ১কোটি ১৪লাখ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে পরিবার পরিকল্পনা অফিস কাম স্টোর ভবন নির্মাণের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা অনিয়মে বাধা দেয়ায় সংশ্লিষ্ঠ প্রকৌশলী ফোনে তাকে গালমন্দ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (৫০শয্যা) কম্পাউন্ডে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ১কোটি ১৪লাখ টাকা ব্যয়ে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের চার তলা ফাউন্ডেশনের দ্বিতল ভবনর টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে বরিশালের কোহিনুর এন্টার প্রাইজের ঠিকাদার মেহেদী হাসান বাদলকে কার্যাদেশ দেয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
ঠিকাদার শুরু থেকেই টেন্ডারের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরু করে। সোমবার সকালে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.ফারুক হোসেনের উপস্থিতিতে ভবনের দোতলার ছাঁদ ঢালাইয়ের কাজ শুরুকরে ঠিকাদারের লোকজন। ভবনের ছাঁদ ঢালাইয়ে ১১ ঘন ফুট খোয়ার সাথে ৩ফুট সাদা বালু, সিলেট চান বালু ২ফুট ও ১ফুট সিমেন্ট মিশ্রনে ঢালাই কাজ করে যাচ্ছে। ফলে নি¤œমানের ওই ভবনের ছাঁদ সহসাই ধ্বসে পরার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন দেখে উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা অমিও রতন ঘটককে অবহিত করেন।
পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অমিও রতন ঘটক বলেন, ঠিকাদার তাকে সিডিউল বা ডিজাইনের কোন কাগজ তাকে দেয়নি। ছাঁদ ঢালাইয়ের ব্যাপক অনিয়মেসর অভিযোগ করে তিনি বলেন, ঢালাই সম্পর্কে তাকে আগে অবহিত করা হয়নি। (আমি) অমিও রতন ঠিকাদরকে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করার অনুরোধ করেছি। আর এ কারণে সিএমএমইউ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ফোনে (আমাকে) অমিও ঘটককে গালমন্দ করেন।
সাইট ঠিকাদার আজাদ বলের, আমার সিডিউল অনুযায়ী কাজ করছি। প্রকৌশলী ফারুক হোসেন কাজ বুঝে নিচ্ছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন সাংবাদিদের বলেন, তার আসার আগেই ঠিকাদার ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে দেয়ন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অভিযোগে পেয়ে তিনি ১১টি খোয়ার পরিবর্তে, ৭টি খোয়ার ঢালাইয়ের কাজ করাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভবনের কাজের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠন আমাকে অবহিত করেননি। আমি কিছুই জানা নেই।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের সহসহকারী প্রকৌশলী আলতাফ হোসেনের বলেন আমরা সিডিউল মোতাবেক মানসম্মত কাজ করাচ্ছি ঠিকাদারকে দিয়ে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তি হিন।