বরিশালের আগৈলঝাড়ায় দরিদ্র পরিবারের সন্তান মানারাত খাতুন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও তার শিক্ষা জীবন এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দরিদ্র পরিবারে সন্তার হওয়াতে তার কলেজে ভর্তি হয়ে হওয়াটা অনিচিৎত হয়ে পরেছে। উপজেলার সেরাল গ্রামের মৃত মো. আজহার বেপারী ও মাতা মোসাঃ রোকসানা সেরনিয়াবাতের একমাত্র মেয়ে মানারাত খাতুন। চলতি এসএসসি পরিক্ষায় মানারাত সেরাল বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে ভাল কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সে দৈনিক ৬-৭ ঘন্টা লেখা পড়া করত। মানারাত নিজে লেখা পড়া করে অন্যান্যের প্রাইভেট পড়াতো। নিজ এবং স্কুলের শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় তার এই সাফল্য। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মানারাত সকলার বড়। তার মা একজন গৃহনী। তার পিতা অনেকদিন আগে ট্রেনে কাঁটা পড়ে মৃত্যুবরন করে। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মানারাত বহুকষ্টে এই কৃর্তিত্ব অর্জন করলেও ডাক্তার হবার স্বপ্ন এখন অন্ধকারে। তার ইচ্ছে লেখাপড়া করে একজন ডাক্তার হয়ে দেশের সেবা করতে চায়।