উপজেলার কুশনা ইউনয়নের ইকড়ায় প্রায় দু’শত বছরের পুরাতন রাধা খেপার মন্দির আজো মাথা উঁচু করে কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একসময় জৌলুস হারালেও জেলা পরিষদের সহযোগিতায় পুরাতন কৃর্তিটির সংস্কার করা হয়েছে। সংস্কারের পূর্বে স্থাপনাটি বাঁদুড়ের আর চামচিকার আবাস স্থল ছিল। সংস্কারের পর মন্দিরটি আবার ভক্তের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যেই দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসেন পুরানো মন্দির দু’টি দেখতে।
বয়োবৃদ্ধ মল্লিক কর্মকার বলেন, গ্রামের চিত্রা নদীর পাড়ে রাঁধা খেপা নামের এক ধর্মানুরাগি আস্তানা গড়ে তোলেন। তার ভক্ত ছিলেন- রাখাল চরন খেপা, বানছা চরন খেপা, মহানন্দা খেপা, মাধব চরন খেপা, ধুপদিপালা খেপা। পরবর্তিতে হিন্দু শাসনের অবসান হলে মন্দির দু’টি জরাজীর্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, প্রায় ১০ বিঘা জমির উপর মন্দির দু’টি অবস্থিত। যা ভুমি দস্যুদের নজরে আসলে জায়গা দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু জমি দখল নিতে পারেনি, তবে পুরাতন গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে তারা।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুফল অধিকারি বলেন, মন্দির দু’টি জরার্জীন অবস্থায় ছিল। জেলা পরিষদ ও ভক্তদের সহযোগিতায় কোন রকম সংস্কার করা হয়েছে। এখন সন্ধা হলে পুঁজা অর্চনা চলে। এ ছাড়া প্রতি সপ্তাহে নাম যজ্ঞের আয়োজন হয়ে থাকে। সনাতন ধর্মের মানিুষ প্রতিনিয়ত তাদের ধর্মের কাজ করে থাকে, ফলে ধর্মীয় প্রার্থনায় নারি ও পুরুষরা সবাই আসে এখানে। বাংলাদেশ ছাত্রযুব ঐক্য পরিষদের ঝিনাইদহ শাখার সভাপতি অমল কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রায় দু’শ বছরের কৃর্তিটি একসময় প্রায় ধ্বংসের উপক্রম হয়েছিল। কোন রকম ভাবে সংস্কার করা হয়েছে। যা খুবই অরক্ষিত ভাবে আছে।
সঠিক ভাবে রক্ষণা বেক্ষণের জন্য সীমানা প্রাচীর দিলে পুরাতন কৃর্তি শোভা বর্ধন হবে। অন্যদিকে স্থানটি সংরক্ষন করা গেলে নদী পাড়ে দর্শনীয় স্থান হতে পারে মন্দির দুইটি। মন্দির দু,টি আর ও ভালভাবে সংস্কার করলে সুন্দর দেখাবে। মন্দির টি সংস্কারের ও রক্সনা বেক্ষনের অভাব রয়েছে। যেহেতু এখানে ধর্মীয় কাজ করা হয় ফলে সংস্কার করা একান্ত দরকার। কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মন্দির দুটি।