ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে এক গ্রাম থেকে তিন হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী এস.এসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে। তাদের বাড়ি কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামে। এ মেধাবীরা হলো মদিনা কারিগর, সুবির দাস, লিখি আক্তার মিম। তাদের আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় কলেজে ভর্তির পর কিভাবে লেখাপড়ার খরচ যোগাবেন সে চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা।
এদের মধ্যে মদিনা, মিম শহরের সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় হতে এবং সুবির দাস সরকারী নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এ বছর এস,এসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।
সলিমুন্নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, এ বছর তার বিদ্যালয় থেকে জিপিএ -৫ পেয়েছে। এদের মধ্যে মদিনা ও মিম অত্যন্ত মেধাবী। তারা অভাবী পরিবারের সন্তান। মদিনা কারিগরের বাবা ইসমাইল কারিগর শহরের ফয়লা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন এবং শহরে কুলি মজুরির কাজ করে সংসার চালান। আর মিমের বাবা ঝন্টু মন্ডলের বসতভিটের অল্প একটু জমিই একমাত্র ভরসা। তিনি পরের ক্ষেতে কামলার কাজ করে সংসার চালান। সংরারে রয়েছে অভাব অনটন,ফলে লেখাপড়া করানো তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ওই গ্রামেই অপর মেধাবী শিক্ষার্থী সুবির দাস শহরের সরকারী নলডাঙ্গা ভূষন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে জি.পি.এ -৫ পেয়েছে। তার বাবা তপুন দাস পেশায় একজন ভ্যান চালক। শ্রাবন্তি দাস নামের তার আরেক মেয়ে যশোর এম,এম. কলেজে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স করছে। বসত ভিটের ২ শতক জমিই তাদের একমাত্র সম্বল। মা পুষ্প রানী দাস নিজে বাড়িতে সেলাই মেশিনে কাজ করে ২ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালান। ভ্যান চালিয়ে ও পুষ্প দাস সেলাইমেশিনে কাজ করে সংসার ছালানো দুরাহ হয়ে পড়ে,পাশাপাশি তাদের লেখাপড়ার খরচ চালানো দুরাহ হয়ে পড়েছে। কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা গ্রামের ৩ হতদরিদ্র পরিবারের ত মেধারি শিক্ষার্থীর ওলেখাপড়া করানোর ব্যাপারে অভিভাবকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। পরিবারের অভিভাবিকরা চিন্তা করছে তাদের সয়সার চলে কোনভাবে এখন কলেজে কিভাবে ভর্তি করবে আর লেখাপড়ার টাকা জোগাড় করবে কিভাবে। একদিকে অভিভাবকরা চিহ্নিত আবার ৩ মেধাবি শিক্ষার্থী ও হতাশ হয়ে পড়েছে।