সৈয়দপুরে বিভিন্ন ফলমূলে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে। ফলে ফল ক্রয়ে অনেকেই অনিহা প্রকাশ করছে। বর্তমানে মানুষের মাঝে বিরাজ করছে ফরমালিন আতংক। আর সেই আতঙ্কে তারা ফল ক্রয়ে অনিহা প্রকাশ করছে। বছরের এ সময়টা ভরা ফল মওসুম। নানা প্রকার ফলমূলে বাজার ভরপুর। পরিবারের কর্তারা তাদের সন্তানদের জন্য বাজার থেকে কোন কিছু না নিলেও ফলমূল ক্রয়ে ভূল করেন না। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে ফরমালিন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফরমালিন যুক্ত ফলমূলসহ অন্যান খাদ্য খেলে মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে বিশেষ করে শিশুরা হতে পারে অন্ধ। তাই সরকার ফরমালিন মুক্ত করতে পাশ করেছে কঠোর আইন। সেই আইনে ফরমালিন ব্যবহাকারীর সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ফলমূল থেকে মুক্ত করা যাচ্ছে না ফরমালিন। কে ফলমূলে এ মারাত্মক ক্ষতির বিষ প্রয়োগ করছে তা ধরতে পারছে না দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। ফলমূল বেচা বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। মানুষ ফলমূল খেতে অনিহা প্রকাশ করছে ফরমালিনের কারণে। বাজারে কি সুন্দর সুন্দর ফলমূল শোভা যাচ্ছে। সেগুলো কিনে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পর হয়ে যাচ্ছে কালো কালো দাগ। তাছাড়া ফলের মধ্যে নেই কোন স্বাদ। কালো আকার ধারণ করা মানে ফরমালিন আছে ধরে নেয়া। কিন্তু কারা এ ফরমালিন দিচ্ছে তা জানেন না ব্যবসায়ীরা। আর এ কারণে ফলের বাজারে নেমে এসেছে ধ্বস। অনেক ফল ব্যবসায়ী লোকসান গুনছেন। তবে গোপন সূত্রে জানা যায়, ফলের ব্যবসায়ীরা অবশ্যই জানেন, কোন কোন ফলে ফরমালিন রয়েছে এবং কারা ফরমালিন ব্যবহার করছে। ফলের দোকান গুলোতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অর্থদন্ড দেয়া হচ্ছে তাদের। তারপরও থেমে নেই ফরমালিন যুক্ত ফলমূল আমদানি এবং বেচা বিক্রি।