কিশোরগঞ্জের চলন্ত বাসে গণধর্ষণে এক নার্সকে হত্যার ঘটনায় আটক পাঁচ আ্সামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুন বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে আসামীদের উপস্থিতিতে এ আদেশ প্রদান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাজিতপুর থানার ওসি (তদন্ত) সারোয়ার জাহান আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিরা হচ্ছে বাস চালক নূরুজ্জামান, চালকের সহকারী লালন মিয়া, রফিকুল ইসলাম রফিক, খোকন মিয়া ও বকুল মিয়া।
এর আগে গতকাল গভীর রাতে রাতে নিহত নার্স শাহিনুর আক্তার তানিয়ার পিতা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য রাজধানী ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত নার্স তানিয়া গত সোমবার বিকালে নিজ বাড়িতে আসার জন্য ঢাকার মহাখালি বাস টার্মিনাল থেকে স্বর্ণলতা পরিবহণের একটি বাস যোগে রওয়ানা হন। বাসটি কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের বিলপাড় গজারিয়া জামতলী নামক স্থানে পৌছার বাসের চালক ও সহকারীসহ অন্যান্যরা ধর্ষন করে বলে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠে। ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঐ এলঅকা থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর রাত পৌনে ১১ টার দিকে তানিয়াকে কটিয়াদি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গতকাল বিকালে নিহত তানিয়ার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়না তদন্ত শেষে জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ হাবীবুর রহমান জানান, নিহতে পরীক্ষা শেষে ধর্ষনের পর হত্যার বিষয়ে আলামত পাওয়া গেছে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর তৌফিকুল ইসলাম জানান, ৫ জন আসামীকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত সকল আসামীর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।