দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের এ্যামেচার যাত্রাপালা আজ বিপন্ন প্রায়। ঠিক সে মুহুর্ত্বে মমতাময়ী মায়ের চরিত্রে নিখুঁত অভিনেত্রী পূর্ণিমা ভঞ্জ এর মৃত্যু গোটা যাত্রা জগতের ছন্দ পতন ঘটিয়েছে। পুর্ণিমা ভঞ্জের স্বামী যাত্রাপাগল পরমেশ ভঞ্জ জানান, অন্তত দেড় শতাধিক যাত্রাপালায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পুর্নিমা ভঞ্জ। দেশের নামী ও সং®কৃত ব্যক্তিত্বদের সাথে কেেছন অভিনয়।
মায়ের চোখে জল, সিঁদুর নিওনা মুছে, শশী বাবুর সংসার, পদদ্বনি, অঢ়ল পয়সা, রক্ত দিয়ে কিনলাম, সিরাজ উদ্দৌলা, কোহিনুর সহ প্রায় দে শতাধিক যাত্রাপালায় নিখুঁত অভিনয় করে পুর®কৃত হয়েছেন পুর্ণিমা ভঞ্জ। কেশবপুরের সাহিত্য সাং®কৃতিক অঙ্গণে বিরাজ করছে এক স্থবিরতা। গত ১৮ মার্চ পুণীমা ভঞ্জ কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা গস্খামস্থ নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এক সময়ের তুখোঁড় অভিনেতা ও পরিচালক মৃণাল কান্তি রায় জানান, পুর্নি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করা কালীন এমন কোন দর্শক শ্রেতা ছিলো না যাদের চোখে জল আসে নি। অভিনেতা ও বাংলার শেষ নবাবের অভিনয় করে যিনি সমধিক পরিচিতি পান শিক্ষক দীপক মজুমদার জানান, পুীর্ণমা ভঞ্জ মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে অল্প দিনে সুখ্যাতি অর্জণ করেন। তার স্বামী পরমেশ ভঞ্জ যাত্রাপাগল মানুষ। তার মৃত্যুতে বৃহত্তর পাঁজিয়া এলাকার যাত্র আর মানুষ দেখতে পারবে কিনা ,সেটা বলা মুশকিল। খুলনা বেতার কেন্দ্রের নাট্য পরিচালক ও লেখক ও অভিনেতা প্রাক্তন শিক্ষক দেবাশীষ চক্রবর্ত্তী, এক সময়ে তুখোঁড় অভিনেতা শের আলী জানান, পরমেশ ভঞ্জ ও পর্ণিূমা ভঞ্জের কারণে এলাকায় যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হতো। তাদের একজনের মৃত্যুতে এ জগতের ছন্দ পতন ঘটেছে। সাং®কৃতিক ব্যক্তিত্ব নুতন করে গড়ে ওঠাও দুরুহ।
পাঁজিয়া ইউনিয়নের ঢ়েয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল জানান, যাত্রা জগতে পরমেষ ভঞ্জ ও পুুির্ণমা একটি নাম। তারা স্বামী স্ত্রী মিলে এলাকার এ্যামেচার যাত্রাপালা মঞ্চায়নে ভুমকা রাখতো যা অনস্বিকার্য। বৃহত্তর পাঁজিয়া এলাকার অনেক যাত্রা শিল্পীর অশাল মৃত্যু হয়েছে। কৃষ্ণেন্দু দেব নাথ ,সাবেক ইউপি মেম্বার অধীর দের নাথ, শ্যামল অধিকারী ও পুর্ণিমা ভঞ্জের মৃত্যু এলাকার যাত্রা জগতে স্থবিরতা নেমে এসেছে।