কেশবপুরে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা মাছের ঘের নিয়ে বিরোধ অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিষ্পত্তি হয়েছে। ঘের নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মণিরামপুর সার্কেল রাকিব হাসান ও কেশবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ শাহিন কেশবপুর থানা কমাপাউন্ডে বসে কেশবপুর উপজেলার হাবাসপোল ও মুলগ্রাম পুবের বিলের ঘের করাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট দু পক্ষ কে নিয়ে শান্তিপূর্ন নিষ্পত্তি করেন।
এলাকাবাসি জানায়, হাবাসপোল ও মূলগ্রামের পশ্চিম বিলে ৫৫ বিঘা জমি রয়েছে। ২০১৭ সালে ওই বিলে ৫ বছর মেয়াদে মাছের ঘের করার জন্য কৃষকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন হাবাসপোল গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ সরদারের ছেলে আবু হাসান রনি। কথা ছিল ঘেরের বেঁড়ি বেঁধে ও ক্যানেল তৈরি মাছ চাষ শুরু করবে। কিন্তু তিনি বেঁড়ি তৈরি করতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আবারও কতিপয় জমির মালিকদের নিকট থেকে ডিড করে নিয়েও ঘেরটির প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হন। এত জমির মালিকরা লিজের প্রতিশ্রুত টাকা না পেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েন। এর প্রেক্ষিতে ওই ঘেরের অধিকাংশ জমির মালিক অবশেষে ২০১৯ সালের ১৬ মে একই মেয়াদে কৃষকদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন গ্রামের মানিক সরদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম। সেই মোতাবেক রফিকুল ইসলাম অধিকাংশ কৃষকের হারির টাকা পরিশোধ করে গত ২৯ এপ্রিল থেকে দুটি স্ক্যাভেটর দিয়ে ঘেরের বেঁড়িবাধ নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি আগের চুক্তিবদ্ধ ঘের ব্যবসায়ী আবু হাসান রনি। তিনি শত্রুতাবশত: ওই জমিতে যশোর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারার মামলা করেন। গত ১ মে আদালতের নির্দেশে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক ফজলে রাব্বি মোল¬া ওই ঘেরের সকল কার্যক্রম বন্ধে ১৪৪ ধারা নোটিশ জারি করেন। যা নিয়ে উভয় পক্ষের ভিতর ঘেরের দখল নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। মাছের ঘেরটির দাবিদার রফিকুল ইসলাম গং ওর্ আবু হাসান রনি সহ স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিরা মাছের ঘেরটি রফিকুল ইসলাম গংকে চাষাবাদ করার পক্ষে সন্মতি প্রদান করেন। দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তি করায় প্রশাসনের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী । কেশবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ শাহিন জানান, মাছের ঘেরটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করতে থাকায় স্থাণযি গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে দু পক্ষের সন্মতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।