যশোরের ঝিকরগাছায় কিশোরীকে অপরহরণ ও ভারতে পাচারের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আটক আবু হুরাইরা। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে ভারতে পাচার করেছিল বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে আবু হুরাইরা। মঙ্গলবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক গৌতম মল্লিক আসামির এ জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। আসামি আবু হুরাইরা শার্শা উপজেলার পন্ডিতপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে। একই সাথে ওই কিশোরীর জবনবন্দি গ্রহণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে মামলার বাদীর জিম্মায় দেয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালতে জবানবন্দিতে আবু হুরাইরা জানিয়েছে, ওই কিশোরী সম্পর্কে তার বেয়ান হয়। তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করে তারা ভারতে চলে যাবে বলে ঠিক করেছিল। গত ২৯ এপ্রিল ওই কিশোরী তার কথামত উপজেলার মুহাম্মদপুর বাসস্টান্ডে আসে। এরপর সে ও তার সহযোগী তাকে বিয়ে করার কথা বলে নাভারণ নিয়ে যায়। নাভারনে কাজী পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাকে ভারতে তার মামা-মামীর কাছে চলে যেতে বলে। দুইদিন পরে সে যাবে বলে এক দালালের মাধ্যমে তাকে সে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সে আর যোগাযোগ রাখেনি। পরে ওই কিশোরীর বাড়ি থেকে চাপ দিলে ভারতে মামা-মামীর সাথে যোগাযোগ করে দেশে ফিরিয়ে আনে বলে জবানবন্দিতে জানিয়েছে আবু হুরাইরা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ওই কিশোরী স্থানীয় মাদ্রাসার ১০ শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি হুরাইরার চাচাতো ভাইয়ের সাথে তার বড় বোনের বিয়ে হয়। সেই সুবাদে তাদের সাথে পরিচয়। আবু হুরাইরা ও তার সহযোগীরা তার বোনের বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে ভারতে পাচার করে দেয়। এ ব্যাপারে ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গত ২৫ এপ্রিল শার্শা থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু হুরাইরাকে আটক ও কিশোরীকে উদ্ধার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করে। আটক হুরাইরা আদালতে ভারতে পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ওই জবানবন্দি দিয়েছে।